কাঠ আর কলাগাছের মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের প্রায় শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাঠ,বাঁশ আর কলাগাছ দিয়ে নির্মিত শহীদ মিনারে ভাষা শহীদের স্মরনে পুর্ষ্পাঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানিয়েছে। হাতে গোনা কয়েক কলেজ ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। মোরেলগঞ্জ পৌর সদরের ৯৮ বছরের ঐতিহ্যবাহী এসিলাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েও আজও গড়ে উঠেনি শহীদ মিনার।

মোরেলগঞ্জ পৌর সদর সহ উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে রয়েছে ১৪ টি কলেজ,নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৫ টি দাখিল ও সিনিয়র পর্যায়ের মাদ্রাসা ৬৪ টি এবং সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়ের সংখ্যা রয়েছে ৩০৮ টি। সব মিলিয়ে মোরেলগঞ্জে সাড়ে ৪ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর কলাগাছ ,বাঁশ কিংবা কাঠের তৈরী শহীদ মিনার তৈরী করে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করে।

মোরেলগঞ্জ সদরের এসএম কলেজ, রওশন আরা ডিগ্রী কলেজ , দৈবজ্ঞহাটী সেলিমাবাদ কলেজ সহ হাতে গোনা কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব অর্থায়নে শহীদ নির্মান করা হয়েছে।

Post MIddle

১০৪ নং পূর্ব গুলিশাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র মন্ডল জানান, তিনি এবছর কাঠ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরী করে দিবসটি পালন করেছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা জানান, সরকারিভাবে বিষয়টি বাধ্যতামূলক এবং শহীদ মিনার নির্মানে সরকারিভাবে অর্থ বরাদ্ধ করা হোক।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান জানান, তিনি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ নির্মানে উদ্যোগ নিবেন। আশাকরি আগামী বছর আন্তর্জাাতিক মাতৃভাষা দিবসে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিবটি পালন করতে পারবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এ্যাড.শাহ-ই-আলম বাচ্চু বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মানের পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের উদ্ধুদ্ধকরণ সহ উপজেলা ও জেলা পরিষদের সহযোগীতা নেয়া হবে।

পছন্দের আরো পোস্ট