চুয়েটে আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স সমাপ্ত

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর চুয়েটের তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘‘The International Conference on Electrical, Computer and Communication Engineering (ECCE 2017)’’ শীর্ষক আর্ন্তজাতিক কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠান শুক্রবার রাতে কক্সবাজারের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। কনফারেন্সের মাধ্যমে ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক, কম্পিউটার সায়েন্স, টেলিকমিউনিকেশন প্রভৃতি বিষয়ে শীর্ষস্থানীয় একাডেমিক সায়িন্টিস্ট, রিসার্চার, স্কলারস, ডিসিশন মেকার্সগণের মধ্যে রচিত সেতুবন্ধনকে আরো এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

Post MIddle

এ উপলক্ষে সন্ধ্যায় আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের হেকেপ-এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহান্ত, IEEE বাংলাদেশ সেকশনের এক্সিকিউটিভ কমিটির মেম্বার ও বুয়েটের ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ আনোয়ারুল ফাত্তাহ। বিদেশী অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নেদারল্যান্ডস এর ইউনিভার্সিটি অব টুয়েন্ট এর অধ্যাপক এন্টন নিজহট।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরো বেশি আর্ন্তজাতিকীকরণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশই এখন দিশেী শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে। এখন বিশ্বায়নের সময়। পারস্পরিক বিনিময় বাড়িয়ে আমাদের আরো এগিয়ে যেতে হবে। সকল সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ার কাজ চলছে। তিনি আরো বলেন, চুয়েটের আয়োজনে এ কনফারেন্সটি বর্তমান সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে। এটি জ্ঞান সৃষ্টি ও বিনিময়ের উপযুক্ত একটি ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার হবে বলে আমি মনে করি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি খাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা গৌরবময় অর্জণ করেছি। ইতিমধ্যে ডিজিটাল দেশ গঠনে আমরা অনেক এগিয়েছি। আমরা মনে করি, চুয়েটের এ কনফারেন্স একটি সুন্দর প্লাটফরম হবে। এখানে দেশ-বিদেশের গবেষকগণের ধারণা ও চিন্তা শেয়ার হচ্ছে। চুয়েটে বর্তমানে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স নিয়মিত হচ্ছে। এসবের মাধ্যমে চুয়েটের শিক্ষা-গবেষণা আরো এগিয়ে যাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের বৈঠকে চুয়েটের জন্য ৩২০ কোটি টাকার প্রজেক্ট অনুমোদন করা হয়েছে। যা এই প্রতিষ্ঠানকে সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ার পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

কনফারেন্সের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামশুল আরেফিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন টেকনিক্যাল কমিটির সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ।

তিনদিনব্যাপী এই আর্ন্তজাতিক কনফারেন্সে বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে (যেমন-যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত) প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন কী-নোট স্পিকার এবং ইনভাইটেড স্পিকার। কনফারেন্সের জন্য মোট ৫৮৫টি পেপার জমা পড়ে। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ২০৭টি পেপার উপস্থাপনের জন্য মনোনীত হয়। এতে কী-নোট স্পিকার হিসেবে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মোহাম্মদ এইচ. রশীদ, ইন্ডিয়ান স্টাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট এর প্রাক্তন পরিচালক শঙ্কর কে. পাল এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক এন. এইচ. সিং, জাপানের সাইতামা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক তেতসুয়া শিমামুরা (Tetsuya Shimamura), নেদারল্যান্ডস এর ইউনিভার্সিটি অব টুয়েন্ট এর অধ্যাপক এন্টন নিজ্হট (Anton Nijholt), যুক্তরাজ্যের উলস্টার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নাজমুল সিদ্দিকী প্রমুখ।

কনফারেন্সে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে ওঊঊঊ বাংলাদেশ সেকশন। এতে স্পন্সর হিসেবে ছিল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বিডিরেন, রুবি সিমেন্ট, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান।#

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট