সিভাসুতে ‘কেটল ব্রিডিং পলিসি ২০০৭’ বিষয়ক সেমিনার

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশের গবাদি পশুর প্রজনন ও জাত উন্নয়নের সুস্পষ্ট ও কার্যকর নীতিমালা জরুরী হয়ে পড়েছে। অন্যথা দেশের উদীয়মান ডেইরী শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। ডেইরী শিল্প বিকাশের জন্য প্রথমে দেশের আবহাওয়া, ঘাসের প্রাপ্যতা এবং জমির পরিমাণ বিবেচনায় জাতের মান নির্ধারণপূর্বক দীর্ঘ মেয়াদী বাস্তবভিত্তিক ব্রিডিং পলিসি তৈরি করতে হবে।

সম্প্রতি ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশের বিদ্যমান ‘কেটল ব্রিডিং পলিসি ২০০৭’ বিষয়ক উক্ত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। গবাদি পশুর প্রজনন ও জাত উন্নয়নে কার্যকর এবং দীর্ঘ মেয়াদী নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে চিটাগাং ডেইরী ফার্ম এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। গবেষণা ও সম্প্রসারণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. কবিরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।

Post MIddle

অপরিকল্পিত নীতিমালার কারণে ডেইরী শিল্প ঝুঁকির মুখে আছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেছেন, দেশীয় জাত সংরক্ষণের পাশাপাশি জাত উন্নয়নের উপর জোরালো গবেষণা করতে হবে। আমরা এখনো জানিনা-দেশে উন্নত জাত, শংকর এবং দেশীয় জাতের গরু কি পরিমাণ আছে। গবাদি পশু শুমারি করে তা বের করা গঠিন কাজ নয়। সঠিক পরিসংখ্যান এবং তথ্য-উপাত্ত না থাকলে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায় না।

জাতীয় ব্রিডিং পলিসি প্রসঙ্গে বক্তারা আরও বলেছেন, ডেইরী শিল্প বিকাশে এনিম্যাল রেকর্ডিং আইডি সিস্টেম থাকতে হবে। কোন ষাঁড় থেকে বীজ নেয়ার আগে ওই ষাঁড়ের ইতিহাস জানতে হবে। রেকর্ড খারাপ হলে বাদ দিতে হবে। বর্তমানে এই নিয়ম নেই। তাছাড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে শুধু দুধের কথা। রোগব্যাধি, মেসটাইটিসের কথা বলা হয়নি। নীতিমালায় এগুলো অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। এছাড়াও বিদ্যমান নীতিমালা সংশোধন, সংযোজন ও সহজবোধ্য করা দরকার।

সেমিনারে নিবন্ধ উপস্থাপন করেন মহাখালী ক্ষুরারোগ ভ্যাকসিন গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মো. ফরহাদ হোসেন, চিটাগাং ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মালিক মোহাম্মদ ওমর। বক্তব্য রাখেন হাজি দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম এ গাফ্ফার, বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. পারভিন মুশতারি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. সাইফুদ্দীন, অধ্যাপক ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র চন্দ, অধ্যাপক ড. মো. আহসানুল হক, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. গৌতম কুমার দেবনাথ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল হক জসিম, চিটাগাং ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের রকিবুর রহমান টুটুল, কাউসার শাহ, মো. হানিফ, নাঈম উদ্দিন প্রমুখ।#

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট