নোবিপ্রবি শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে পমেটো’র চাষ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কৃষি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. গাজী মো. মহসীনের তত্ত্বাবধানে পমেটো চাষ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে পরীক্ষামূলকভাবে পমেটোর এ চাষাবাদ শুরু হয়। সফলতার মুখ দেখায় এবার স্থানীয় কৃষকরাও এ সবজিচাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এ বিষয়ে কৃষি বিজ্ঞানী ড. গাজী মো. মহসীন জানান, একই গাছে আলু (পটেটো) এবং টমেটো এই উৎদাপনশীল গাছটির নাম পমেটো। একই সময়ে এ গাছটিতে আলু ও টমেটোর ফলন হবে। গাছের তলায় মাটির নিচে উৎপাদিত হবে আলু আর ডগায় গাছের প্রতিটি শাখায় ধরবে থোকায় থোকায় টমেটো। শুনতে অদ্ভূত লাগলে এটিই সত্যি বলে জানান খ্যাতিমান এ বিজ্ঞানী।

Post MIddle

রুটস্টক হিসেবে আলুর চারা আর সায়ন হিসেবে টমেটোর চারা ব্যবহার করা হচ্ছে। গ্রাফটিং বা জোড়কলম পদ্ধতিতে সোলানেসি গোত্রের ‘ডায়ামন্ট’ জাতের আলুর সাথে ‘মিন্টো সুপার’ জাতের টমেটোর চারাগাছের জোড়া দিয়ে এই পরীক্ষমূলক চাষের সূচনা করা হয়। এক্ষেত্রে দুটির চারার বয়স সমান হতে হয়। চারার বয়স যখন ২৫-৩০ দিন হবে তখন দুটি চারাকে জোড়া লাগানো হয়। এতে করে কিছুদিনের মাঝেই আলুর মূল এবং টমেটোর কান্ডের সংযোগ হয়ে যায়। এতে করে গাছের উপরে কা-ে ফলে টমেটো এবং মাটির নিচে শেকড়ে উৎপাদিত হয় আলু।

ড. মহসীন আরো জানান, এ সবজি চাষ স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ভিত্তিতে ছড়িয়ে দিতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষের সবজি চাহিদা পূরণ হবে। এটি মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াবে। এছাড়া আলুর স্টার্চের সঙ্গে টমেটোর লাইকোপেন যা একই গাছ থেকে পাওয়া যাবে এবং তা ক্যান্সার প্রতিরোধী বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে পমেটোর চাষ হলেও আমরা ব্যাপকভিত্তিতে এর চাষাবাদ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ, আমরা চাই কৃষিতে আরো বেশি গবেষণাবান্ধব কর্মযজ্ঞ হোক।

পছন্দের আরো পোস্ট