ইবিতে আন্তঃহল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেছেন, সংস্কৃতি বিহীন জ্ঞান পরিপূর্ণ জ্ঞান নয়। শুধুই লেখাপড়া, একাডেমিক সাফল্য একজন মানুষকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নির্মাণ করতে পারে না। সংস্কৃতির জ্ঞান তাঁর অপরিহার্য্য। তিনি বলেন, মানবসভ্যতার ইতিহাস, মানবজন্মের ইতিহাসের সাথে সংস্কৃতিচর্চা ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। এই সংস্কৃতিকে যদি মানুষের জীবনাচরণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে কেড়ে নেয়া হয় তাহলে তারা হবে বিকলাঙ্গ, মানসিকভাবে পঙ্গু।

Post MIddle

ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অগ্রগতি ঘটেছে। ইতোমধ্যে সিলেট ও চট্রগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে আমাদের শিক্ষার্থীরা গৌরব বয়ে এনেছে। তিনি বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় যে উৎকর্ষ দেখাতে চায় লেখাপড়ায় ও গবেষণায় তেমনি, একই উৎকর্ষ দেখাতে চায় শিল্প এবং সংস্কৃতিচর্চায়। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি সংস্কৃতি ও ক্রীড়া চর্চার প্রতি আরো আগ্রহী হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান। সফলতার সাথে এ আয়োজন করায় তিনি আয়োজকদের জানান আন্তরিক ধন্যবাদ।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রভোস্ট কাউন্সিলের আয়োজনে আন্তঃহল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০১৭’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভাইস-চ্যান্সেলর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী এসব কথা বলেন।

প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা বলেন, সংস্কৃতি কর্মকান্ড আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একজন মানুষ যদি সংস্কৃতিমনা হন তাহলে তিনি পরিশোধিত, পরিশুদ্ধ, একজন সভ্য বক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ। তিনি প্রতিযোগিদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। সেই ট্রেনিং ইনস্টিটিউট শুধু একাডেমিক শিক্ষাদানের জন্য নয়। দেশ এবং বিদেশের সকল চ্যালেঞ্জ এবং প্রতিকুল অবস্থা মোকাবেলা করে তুমি নিজের মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারো এইভাবে তোমাদের গড়ার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের। সে কারনে একাডেমিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি সংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া চর্চা অপরিহার্য্য। এ আয়োজন করায় আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।

বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ রবিউল হোসেনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস.এম আব্দুল লতিফ। জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। সঙ্গীত, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হলের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন প্রফেসর ড. আনম রেজাউল করিম, প্রফেসর ড. দীপক কুমার পাল, প্রফেসর ড. রেবেকা মন্ডল ও ড. তপন কুমার রায়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।#

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট