কাজী আলী রেজা রচিত দুটি পৃথক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, “জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক জন্মগত। অর্থাৎ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ দেশটিকে পুনর্গঠন করতে জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শুধু তাই নয় বাংলাদেশের কঠিন সময়গুলোতে জাতিসংঘের সমন্বিত কার্যক্রম অনেক সাহায্য করেছে। গতকাল (৪ ফেব্রুয়ারি) শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেকচার থিয়েটার ভবনস্থ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশে জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের সাবেক প্রধান কর্মকর্তা কাজী আলী রেজা রচিত ‘জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ উন্নয়নে অংশীদার’ এবং ‘ইউনাইটেড নেশন’স অ্যান্ড বাংলাদেশ বিল্ডিং এ বেটার ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক দুটি পৃথক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, কাজী আলী রেজার জাতিসংঘবিষয়ক বিভিন্ন কর্মকা-ে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মকা-ের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব বিষয়ে তাঁর বইয়ে আলোকপাত করেছেন। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ দফতরে যান। সেখানে তিনি সর্বপ্রথম বাংলায় বক্তৃতা দেন। সেদিন তিনি তাঁর বক্তৃতায় যা বলেছিলেন, আজও সেসব অনুসরণ করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, পৃথিবী দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বই দুটির প্রকাশক সন্তু সাহা।

Post MIddle

সভাপতির বক্তব্যে প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ একই সূত্রে গাঁথা। এজন্য বাংলাদেশের মানুষকে জাতিসংঘ সম্বন্ধে অবশ্যই জানতে হবে। জাতিসংঘের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনিসেফ, ইউনেস্কো ইত্যাদি রয়েছে। এসব সম্পর্কে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের জানা প্রয়োজন। আর জানতে হলে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ উন্নয়নে অংশীদার বইটা পড়া প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, যখন কোন জাতি সংকটের মধ্যে থাকে তখন জাতিসংঘ তাদের সে সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সাহায্য করে। কিন্তু আজকের রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ তেমন আশাব্যঞ্জক ভূমিকা রাখতে পারছে না। এজন্য আমাদের চাওয়া, জাতিসংঘ এই অবস্থা থেকে বের হয়ে এসে সংকটাপন্ন জাতিকে সাহায্য করুক।

উল্লেখ্য, বই দুটি প্রকাশ করেছে হোপ মাল্টিমিডিয়া প্রকাশনা।

পছন্দের আরো পোস্ট