চুয়েটে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর বিষয়ে সভা

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ প্রস্তাবিত আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন বিষয়ে এক সভা আজ (২৯ জানুয়ারি, ২০১৭) সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত সচিব এবং পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সদস্য মো: নজরুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের প্রধান জনাব এস এম গোলাম আলী এবং বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জনাব সুশান্ত কুমার সাহা।

বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (সিনিয়র সহকারী সচিব) মো: শাহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ সরকারের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)-এর শিল্প ও শক্তি সেক্টরের সহকারী পরিচালক মো: সাইফুর রহমান, বাংলাদেশ সরকারের হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী নরোত্তম পাল, আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন প্রকল্পের চুয়েট প্রতিনিধি এবং চুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (অতি:দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।

Post MIddle

চুয়েটের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ভারপ্রাপ্ত সচিব এবং পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সদস্য মো: নজরুল ইসলাম বলেন,বর্তমান সরকার আইটি বিষয়ে উদ্যোগগুলোকে নানাভাবে উৎসাহিত করছে।

চুয়েট আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন প্রকল্প বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম চুয়েটে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটিকে ভালোভাবে গড়তে হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উপযোগী করে তুলতে হবে। যত্ন সহকারে সার্বিক দিক বিবেচনা করতে হবে। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের প্রধান এস এম গোলাম আলী বলেন, এটি অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। এর মাধ্যমে জাতিকে কিছু দেয়া সম্ভব। চুয়েট প্রথম এই উদ্যোগ নিয়েছে। সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এগিয়ে আসবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা বলেন, এই উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী। এটিকে টেকসইভাবে ব্যবহার করার জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে অনেক সৃজনশীল আইডিয়া থাকে। সে আইডিয়াগুলো ইনকিউবেটরে ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের তথ্য-প্রযুক্তিখাতে বিপ্লব আনা যাবে। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে বড় ধরনের অবদান রাখা যাবে। সভাশেষে প্রকল্পের স্থান পরিদর্শন করা হয়।

পছন্দের আরো পোস্ট