বিশ্বের সর্ববৃহৎ মসজিদ নির্মিত হবে মিসরের নতুন রাজধানীতে

মিসরের বর্তমান রাজধানী কায়রোর পূর্ব দিকে লোহিত সাগরের উপকূলে প্রশাসনিক রাজধানী হিসেবে নতুন একটি নগর গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। কায়রোর ভিড়, আর পরিবেশর ওপর চাপ কমাতেই নতুন এই রাজধানী তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।আধুনিক, স্বতন্ত্র ও নিরাপদ এই শহরের কাঠামো নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে ক্যাপিটাল সিটি পার্টনার নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছে মিসরের প্রশাসন।

নতুন এ রাজধানী আয়তনের দিক থেকে হবে সিঙ্গাপুরের সমান। যাতে লন্ডনের হিথ্রোর চেয়ে বড় একটি বিমানবন্দর ছাড়াও থাকবে আধুনিক সব স্থাপত্যকর্ম।নতুন শহরে ৫০ লাখ নতুন বাসভবন নির্মাণ করা হবে। তৈরি করা হবে প্রায় ২ হাজার স্কুল ও ছয় শতাধিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। এ শহর গড়ে তোলার কাজ শেষ করতে সাত বছরের মতো সময় লাগবে বলে জানিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

প্রস্তাবিত এই রাজধানীর জন্য সাড়ে চার হাজার কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় ধরা হয়েছে। তবে শহরটির নাম এখনও ঠিক করা হয়নি।মিসর প্রশাসন আশা করছে, এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে লাখ লাখ লোক কায়রো থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। যা প্রাচীন এই শহরটিকে দূষণমুক্ত করার ক্ষেত্রে যেমন সহায়ক হবে তেমনি ঘনবসতি ও প্রতিদিনের যানজট থেকেও রেহাই পাবে মানুষ।

Post MIddle

মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি এক অর্থনৈতিক সম্মেলনে এই নতুন শহর তৈরির ঘোষণা দেন। মিসরের পার্লামেন্ট ভবন ও বিদেশি দূতাবাসগুলো নতুন রাজধানীতে সরিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।প্রেসিডেন্ট আরও ঘোষণা করেছেন, নতুন রাজধানীতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ একটি মসজিদ নির্মাণ করা হবে। নতুন এই শহরে থাকবে গির্জাসহ ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়ও।

প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি ৬ জানুয়ারি কায়রোর কপটিক চার্চ পরিদর্শনের সময় এসব কথা বলেন। দুই বছর পূর্বে মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসির ক্ষমতাচ্যুতের সময় অভ্যুত্থান জন্য এই চার্চটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। চার্চটি পরিদর্শন করতে দেরি হওয়া জন্য আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি ক্ষমা চেয়েছেন।

তিনি বলেন, ধর্মীয় বৈচিত্র্য এবং পার্থক্য নিয়ে কোনো ধরনের হানাহানি কাম্য নয়। প্রত্যেকের উচিৎ অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।

পছন্দের আরো পোস্ট