গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা

বুধবার(১৭ জানুয়ারি)দুপুরে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ হাইয়ার এড্যুকেশন ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট’ শীর্ষক দুইদিন ব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইন্টার্নাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল-IQAC’ কনফারেন্স হলে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

গণ বিশ্ববিদ্যায়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. দেলওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে যথাক্রমে অধ্যাপক জেনিট কার্টার আনন্দ (আন্তর্জাতিক সমাজকর্ম বিভাগ, ইস্টার্ন ফিনল্যান্ড ইউনিভার্সিটি), মারক্যু হার্ননিন (রিসার্চ ডিরেক্টর, হেলসিনকি ইউনিভার্সিটি), অধ্যাপক ড. এম. নজরুল ইসলাম (ডীন, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, গবি), অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান (উপাচার্য, জবি), প্রফেসর ড. আর. আই. এম. আমিনুর রশিদ (উপাচার্য, বাউবি) সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন ও বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাবি উপাচার্য বলেন- ‘গণ বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হলেও এখানে অবকাঠামোগত সুবিধা অন্য যেকোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক উন্নত। এই কর্মশালার মাধ্যমে ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কলাবরেশনের মাধ্যমে আমরা সমগ্র বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষার মান অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে পারি।’
কর্মশালার সার্থকতা তুলে ধরে, ইস্টার্ন ফিনল্যান্ড ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সমাজকর্ম বিভাগের জেনিট কার্টার আনন্দ বলেন, “বিশ্বের পরিবেশগত দিক বিবেচনা করলে দেখা যাবে সংস্কৃতি ও শিক্ষাপ্রদানের ধারা বিভিন্ন দেশে বিভিন্নরকম হয়ে থাকে। সেদিক থেকে কর্মশালাটি অন্যতম ভূমিকা পালন করবে।”

বাংলাদেশের নারী ক্ষমতায়নের প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করে মারক্যু হার্ননিন বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষার পর্যায় থেকে কো-এডুকেশন এবং নারী শিক্ষায় আরও জোড় দেওয়ার মধ্য দিয়ে নারীর অধিকার সুষ্ঠুভাবে প্রতিষ্ঠা সম্ভব।”

Post MIddle

নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়কে মূল্যায়নের দিকনির্দেশনা দিয়ে কর্মশালায় বক্তব্য উপস্থাপন করেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের সিনিয়র লেকচারার শহিদ মল্লিক। তিনি বলেন, “শিক্ষকদের সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের আদান প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষা ও সাংস্কৃতির দিক দিয়ে সমৃদ্ধ হওয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর। সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্বীয় বিষয়গুলো বাস্তবে প্রয়োগের এখনই সুবর্ণ সুযোগ। অংশগ্রহণকারী ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর কলাবোরেশন ও সার্বিক সহযোগিতাই পারে এই কর্মশালা সফল করতে।”

কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে উচ্চ শিক্ষার মান উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন আলোচনার পাশাপাশি ছয়টি প্রজেক্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতাত্ত্বিক বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আই.ই.আর ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্টার্ন ফিনল্যান্ড ইউনিভার্সিটি, কুইনস্ ইউনিভার্সিটি, এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইউনাইটেড কিংডম এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।#

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট