আবদুল কাদির মোল্লা কনভেনশন সেন্টার ও কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্যাম্পাসের দক্ষিণাংশে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন স্থানে “আবদুল কাদির মোল্লা কনভেনশন সেন্টার” নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গত ১২ জনুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে নির্ধারিত স্থানে কনভেনশন সেন্টারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পত্রপত্রিকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কর্তৃপক্ষ মনে করেন, এই মিশ্র প্রতিক্রিয়ার ফলে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সম্পর্কে সকলের অবগিতর জন্য নি¤œরূপ বক্তব্য প্রদান করছেন:

সংশ্লিষ্ট সকলেই অবগত আছেন যে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিকমানের কোনো কনভেনশন সেন্টার, সেমিনার হল ও ডরমেটরি নেই। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি আন্তর্জাতিকমানের কনভেনশন সেন্টার নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এমন একটি কনভেনশন সেন্টার নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থ নেই এবং আপাতত: এ খাতে সরকারি অর্থ পাওয়ারও কোনো সম্ভাবনা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন অনুভব করে শিল্পপতি জনাব আবদুল কাদির মোল্লা এই কনভেনশন সেন্টার নির্মাণের অনুদান নিয়ে এগিয়ে এসেছেন।

Post MIddle

“আবদুল কাদির মোল্লা কনভেনশন সেন্টার” নির্মাণের পেছনে বাণিজ্যিক কোন উদ্দেশ্যে নেই। এটি শিক্ষা-গবেষণা সহায়ক একটি অবকাঠামো হিসেবে নির্মাণ করা হচ্ছে। এখানে দেশি-বিদেশি গবেষকদের অবস্থান ও গবেষণার সুবিধা থাকবে। এই সেন্টারে আন্তর্জাতিকমানের ওয়ার্কসপ, সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, বার্ষিক সম্মেলন ইত্যাদি করার মতো উপযুক্ত সেমিনার হল নির্মাণ করা হবে। যা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রমকে সহায়তা, গতিশীল ও উন্নত করবে। এখান থেকে যে সমস্ত শিক্ষা ও গবেষণা কাযক্রম পরিচালিত হবে তাতে শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করতে পারবে। অর্থদাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে কোনো প্রকার শর্ত সাপেক্ষে এই কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে না।

অর্থদাতা প্রতিষ্ঠানের অনুদানে এটি নির্মিত হচ্ছে। এটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০% সম্পত্তিই থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সেন্টার প্রয়োজনে করবে। এখানে শিক্ষার্থীরাও শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। এই সেন্টারকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিকমানের গবেষণার পরিবেশ তৈরি হলে শিক্ষা ও গবেষণার মান বাড়বে এং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করা সম্ভব হবে।

এমতাবস্থায়, “আবদুল কাদির মোল্লা কনভেনশন সেন্টার” সম্পর্কে কোনো প্রকার বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানানো হচ্ছে।

পছন্দের আরো পোস্ট