ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বোস লেকচার অনুষ্ঠিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বোস সেন্টার ফর এ্যাডভান্সড স্টাডি এন্ড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল সায়েন্সেস-এর উদ্যোগে ‘বোস লেকচার-২০১৭’ আজ (১ জানুয়ারি ২০১৭) রবিবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক সত্যেন্দ্র নাথ বোসের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামান ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। বোস সেন্টার ফর এ্যাডভান্সড স্টাডি এন্ড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল সায়েন্সেস-এর পরিচালক অধ্যাপক শামীমা চৌধুরী স্বাগত বক্তব্য দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রয়াত বিজ্ঞানী অধ্যাপক এস এন বোসের আদর্শ অনুসরণ করে বিজ্ঞান গবেষণা পরিচালনার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।

Post MIddle

তিনি বলেন, ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই অধ্যাপক এস এন বোস তাঁর অসাধারণ গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বিশ্বাঙ্গণে পরিচিত করে তোলেন। পদার্থসহ বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে অসামান্য পারদর্শিতার জন্য তিনি নোবেল বিজয়ী বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের নজর কাড়েন।

পরবর্তীতে তিনি আইনস্টাইনের সঙ্গে যৌথ গবেষণার সুযোগ লাভ করেন। তাঁদের উদ্ভাবিত “বোস-আইনস্টাইন তত্ত্ব” বিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণার জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। এই তত্ত্বই অধ্যাপক এস এন বোসকে অমর করে রেখেছে। অধ্যাপক এস এন বোসের নামানুসারে বিশ্বের অর্ধেক কণাকে ‘বোসন্স’ হিসাবে রাখা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক এস এন বোস ১৮৯৪ সালে ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পরলোক গমন করেন।

পছন্দের আরো পোস্ট