কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবস পালিত

বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯ টায় বিজয় র‌্যালি, সকাল ৯.১৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ১০ টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং সকাল ১১টায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ দিনটি উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও দেশাত্ববোধক গান পরিবেশনের পাশাপাশি আবাসিক হলসমূহে উন্নত খাবার প্রদানের ব্যবস্থা এবং প্রশাসনিক ভবন ও একাডেমিক ভবনসমূহ আলোক সজ্জিত করা হয়েছে।

Post MIddle

আলোচনা সভায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: আলী আশরাফ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ৩০ লাখ বীর শহীদ এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালের এই দিনে আসে চূড়ান্ত বিজয়। বিশ্বের মানচিত্রে আত্মপরিচয়ের ঠিকানা খুঁজে পায় বাঙালী। তাই এই দিনটি বাংলাদেশের সবচেয়ে আনন্দের এবং বড় প্রাপ্তির।

তিনি আরও বলেন, বিজয়ের অনুভূতি সবসময়ই আনন্দের। তবে একই সঙ্গে বিজয়ের এ দিনটি কষ্টেরও। এ দেশীয় দোসরদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় পাকহানাদার বাহিনীর নির্মম আঘাতে অনেকেই তাঁদের অতি প্রিয় আপনজনকে হারিয়েছে, তাঁদের স্মৃতি আজও তাঁরা বয়ে বেড়াচ্ছে। আমরা হয়ত কখনও তাঁদের ঋন শোধ করতে পারব না। তবে যে অস্ত্র দিয়ে বর্বর পাকবাহিনী এ দেশের আপামর জনসাধারনকে হত্যা করেছিল, সেই অস্ত্র পায়ের কাছে নামিয়ে রেখে লজ্জা ও হতাশার গ্লানি নিয়ে বীর বাঙালীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল। তাই এ দিনটি বাঙালী জাতির হাজার বছরের বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন।

তিনি বলেন, বিজয়ের দীর্ঘ সময়ে অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্যে দিয়ে পার হলেও হতোদ্যম হয়নি জাতি। বিলম্বে হলেও ইতিহাসের দায়-দেনা মোচনের প্রচেষ্টা এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবন বাজি রেখে একাত্তরের মানবতা বিরোধীদের বিচারকার্য চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ইতোমধ্যে কয়েকটি রায় কার্যকর হয়েছে। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মানবতাবিরোধী সকল হত্যাকরীদের দন্ড কার্যকরের বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন বিভাগের ডিন, হলের প্রভোস্ট, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এবং বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ।##

পছন্দের আরো পোস্ট