মাসব্যাপী এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী চলছে

6th-day-pic-1সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত চারুকলা বিষয়ক সর্ববৃহৎ প্রদর্শনী হল ‘দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ’। গত ১ ডিসেম্বর ২০১৬ বেলা ১১ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের ৬ষ্ঠ দিনে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রোসেসিং জোনে শুরু হওয়া তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্প এর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। উদ্বোধনী সময়ে উপস্থিত ছিলেন কঊচত এর সভাপতি জাহাঙ্গীর সাদাত, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক সোবহান, কোরিয়ান দূতাবাসের ডেপুটি অব মিশন মি. সামজু কোয়াক।

আর্টক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী শিল্পীবৃন্দ হলেন বাংলাদেশের শিল্পী ড. ফরিদা জামান, হাশেম খান, মাহমুদুল হক, মুনিরুল ইসলাম, নাইমা হক, নাজলি লাইলা মনসুর, রফিকুন নবী, রোকেয়া সুলতানা ও সমরজিৎ রায় চৌধুরী, কালিদাস কর্মকার, সৈয়দ আবুল বারক আলভী, মো. ইউনুস, মনিরুজ্জামান ও মোঃ ইকাল আলীসহ আরো অনেকেই।

এছাড়াও ১৭তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০১৬ তে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। প্রতিদিন বেলা ১১টায় প্রদর্শনী দেখতে আসছে ঢাকার শহরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্দ। প্রদর্শনীর প্রতিদিনের ধারাবাহিকতায় ৬ ডিসেম্বর খিলগাঁও আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের দিবা ও প্রভাতী শাখার ৩২০ জন শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক ও অভিভাবক প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন।

Post MIddle

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর বিশিষ্ট শিল্পীদের অংশগ্রহণে এ অনন্য প্রদর্শনী ১৯৮১ সালে যাত্রা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় আয়োজন করা হয়েছে মাসব্যাপী ‘১৭তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ-২০১৬’। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও বাংলাদেশসহ  বিশ্বের ৫৫ টি দেশ এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছে।

প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ থেকে ৫৫৬ জন শিল্পীর শিল্পকর্ম থেকে বাছাই করে ১৪৮ জন শিল্পীর ১৫৪ টি শিল্পকর্ম প্রদর্শনের জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য ৫৪জন আমন্ত্রিত চিত্রশিল্পীর ৫৪টি শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। অন্যদিকে প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে ৫৪টি দেশের ১২৭ জন শিল্পীর ২৭৭টি শিল্পকর্ম। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো থেকে শিল্পী, শিল্প সমালোচক, মিউজিয়াম কিউরেটরসহ মোট ১৪৬ জন বিদেশী এ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে।

প্রদর্শনীতে বাংলাদেশসহ অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দেশগুলো হলো আর্জেন্টিনা, অষ্ট্রেলিয়া, অষ্ট্রিয়া, ভুটান, ব্রুনাই, বুলগেরিয়া, কম্বোডিয়া, কানাডা, চিলি, চীন, কলোম্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, উত্তর কোরিয়া, মিশর, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মান, গ্রীস, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইতালি, জাপান, কুয়েত, লেবানন, লুক্সেমবার্গ, মালোয়শিয়া, মরিশাস, মায়ানমার, নেপাল, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, পেরু, ফিলিপাইনস, পোল্যান্ড, কাতার, দক্ষিণ কোরিয়া, রিইউনিয়ন আইল্যান্ডস, রাশিয়া, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, সাউথ আফ্রিকা, আয়ারল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্কো, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ভিয়েতনাম এবং উজবেকিস্তান।

মাসব্যাপী এ প্রদর্শনী ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

পছন্দের আরো পোস্ট