পরিবহন চালক গ্রেফতার হলেও ইন্ধনদাতা অন্ধকারে

IU Logoইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসির গাড়ির চাকার বোল্ট খুলে রাখার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে ভিসির কাছে এ প্রতিবেদন পেশ করা হয়। প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সন্দেহজনক ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি চালক সাহাদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতিবেদনে সন্দেহজনক ভাবে চালককে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও এঘটনার নেপথ্যে বা ইন্ধনদাতা হিসেবে কে রয়েছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল গাড়ি চালক, হেলপার, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান ও প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান জানান, ভিসির বাসভবনে প্রতিস্থাপিত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজের উপর ভিত্তি করে সন্দেহজনক ভাবে সাহাদুল ইসলামকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই বাছাই করে তদন্ত কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন ও ভিডিও ফুটেজ ভিসির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় ভিসি প্রফেসর ড. হারুন উর রশিদ আসকারী, প্রফেসর ড. মো. কাহিনুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সেলিম তোহা সহ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার আগের দিন বুধবার বিকেলে সাহাদুলকে গ্রেফতার করে ইবি থানা পুলিশ। ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন-‘বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রারের দায়ের করা মামলার (মামলা নং-০৫/১৬/১১/১৬) পরিপ্রেক্ষিতে সাহাদুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে আটক করা হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’

Post MIddle

এদিকে ভিডিও ফুটেজের উপর ভিত্তি করে সন্দেহমুলক ভাবে দোষী সাবস্ত্য করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ির চালক ও হেলপাররা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষুব্ধ চালক ও হেলপাররা অভিযোগ করে বলেন, সাহাদুল একজন সাদাসিদে মানুষ। তবে যদি সে অন্যায় করে তাহলে তার শাস্তি হোক। কিন্তু সন্দেহের ভিত্তিতে তাকে আটক করা উচিত নয় বলেও দাবি করেন চালকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চালক আশংকা প্রকাশ করে বলেন, সাহাদুল যদি এই অন্যায় করেই থাকে, তবে অবশ্যই সে কোন একজনের ইন্ধনে একাজ করেছে। তদন্ত কমিটির উচিত ছিল সেই ইন্ধনদাতা বা নেপথ্য শক্তিকে খুঁজে বের করা। তা না করে আগে ভাগেই তাকে আটক করেছে পুলিশ।

তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন-‘সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সাহাদুলকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ ও সাক্ষাতকারের ফুটেজের উপর ভিত্তি করে তাকে পুলিশে দেয়া হয়। এঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখার জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর উপর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’ গাড়ির চালক ও হেলপারদের ক্ষোভ ছিল। তবে থানায় গিয়ে সাহাদুলের সাথে কথা বলার পর তাদের ক্ষোভ নেই বলে দাবি করেন তিনি।

এব্যাপারে ভিসি প্রফেসর ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন-‘তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। উচ্চতর তদন্তের জন্য আইন শৃংখলা বাহিনী কাজ করবেন বলে আশা করছি। এঘটনার নেপথ্যে যে বা যারাই থাকুন না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।’###

 

পছন্দের আরো পোস্ট