জাবি বটতলায় ১২ প্যাচের জিলাপি

‘জিলাপির আড়াই প্যাঁচ’ বলে একটি কথা প্রচলিত আছে। এক সময় জিলাপিকে ‘আড়াই প্যাঁচ’ নামেই চিনতো সবাই। বড়-ছোট অর্থে আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই এর ভক্ত।
সচরাচর যে জিলাপি আমরা খেয়ে থাকি, তা আকারে ছোট এবং আড়াই প্যাঁচের(কম-বেশি) হয়ে থাকে। কিন্তু জাবি ক্যাম্পাসে বটতলার দোকানে এক বিশেষ ধরণের জিলাপি খেতে গেলে আপনাকে অনেকগুলো প্যাঁচ গুণতে হবে। জিলাপিটির নাম ‘ফুল জিলাপি’। নোয়াখালীতে বলা হয় ‘হুল জিলাপি’। কারো কাছে এটি ‘শাপলা ফুল’ কিংবা ‘১২ প্যাঁচের’ জিলাপি হিসেবেও পরিচিত।

Post MIddle

জিলাপিটি খেতে গেল বটতলার দোকানে বসে আপনাকে ১২ থেকে ১৫ টি প্যাঁচ গুণতে হবে। জিলাপি যত প্যাঁচেরই হোক না কেন মচমচে জিলাপি খাওয়ায় স্বাদের কোন জুুড়ি নেই! প্যাঁচ ১২কিংবা ১৫টি হলেও প্রতি পিস জিলাপির দাম নিবে মাত্র ১০ টাকা।

বটতলায় শতাধিক খাবারের দোকান থাকলেও ৩-৪টি দোকান শিক্ষার্থীদের জন্য সারারাত খোলা থাকে। রাত ১২টার পর থেকেই সিঙ্গারা-পুরির পাশাপাশি এই জিলাপির কদর বাড়তে থাকে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের কাছে।

দোকানীর ভাষ্যমতে, প্রত্যেকটি দোকানে প্রতি রাতে জিলাপি বিক্রয় হয় দু’শ থেকে আড়াই’শ পিস। শীতকালে এর কদর বেড়ে যায় আরো কয়েকগুণ বেশি। শীতকালে বিক্রয় হয় পাঁচ’শ থেকে ছয়’শ পিস।

গরম মচমচে জিলাপি খাওয়ার জন্যে শীতকালে আপনাকে সিরিয়াল অনুযায়ী দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে। জ্বাল দেওয়া মিষ্টির শিরা থেকে যখন গরম জিলাপি তোলা হয় তখন আপনার জিভে নিমিষেই জল এসে যাবে।

শিক্ষার্থীদের কাছে জিলাপির কদর এতো বেশি যে, ‘বটতলার প্যাঁচ’ নামে জিলাপি ফ্যান ক্লাব করলে ক্যাম্পাস থেকে কয়েক হাজার সদস্য হয়ে যাবে নিমিষেই। বড়-ছোট অর্থের আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই এর ভক্ত।

৬ মাস আগে নোয়াখালী থেকে আসা জিলাপি কারিগর মো. লিটন জানান, এই ‘হুল জিলাপি’ তৈরি করতে গেলে তাকে বারো থেকে পনেরোটি প্যাঁচ ঘুরাতে হয়। তিনি এই জিলাপি বানানো শিখেছেন চট্টগ্রাম থেকে। তার ভাষ্যমতে, চট্টগ্রামে এই জিলাপির কদরও নাকি অনেক বেশি। তার মতে, জিলাপি তৈরির উপাদান: ময়দা, খাবারের সোডা ও চিনির তৈরি শিরা।#

শিক্ষার্থী, স্নাতক তৃতীয় বর্ষ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

পছন্দের আরো পোস্ট