জবিতে ধর্মঘট পালিত,কাল পদযাত্রা

Masum jnu picকেন্দ্রীয় কারাগারের পরিত্যক্ত জমিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল নির্মাণের দাবিতে রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো ধর্মঘট পালিত হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে ধর্মঘট শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীরা।

ধর্মঘট পালনের শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনের নিচ তলায় সোমবার ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পদযাত্রা’ কর্মসূচী ঘোষণা করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের ২১ তম দিনের ধর্মঘটে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দিলেও পরে ২১ আগস্টে নিহতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধান ফটক খুলে দেওয়া হয়। তবে নতুন ভবন সহ সবগুলো ভবনের গেইটে তালা লাগিয়ে দেওয়ায় কোন ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।

এসময় আন্দোলনকারীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে ক্যাম্পাসে ফিরে যায়। দুপুর পর্যন্ত খন্ড খন্ড ভাবে বিক্ষোভ চলতে থাকে। দুপুর ২টার দিকে ধর্মঘট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

Post MIddle

সাধারন শিক্ষার্থীদের পক্ষে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষনা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী খায়রুন্নেছা। লিখিত বক্তব্যে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আজ আন্দোলনের ২১ তম দিনে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালিত হয়েছে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আন্দোলনের ২১ দিনেও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কাছ থেকে কোন ঘোষণা পাইনি। আমরা বর্তমান প্রশাসনের উপর কোন প্রকার আস্থা রাখতে পারিনা। কারন, বিগত ১২ বছর ধরে ছাত্রদেরহ ল নির্মাণের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসের চোরাবালিতে হারিয়ে গেছে। এমতাবস্থায়, প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কাছ থেকে ঘোষণা ব্যতীত আন্দোলন থেকে পিছপা হবোনা। তাই আগামীকাল পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ‘ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পদযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হবে।’’

বাম সংগঠনের নেতারা এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে খায়রুন্নেছা বলেন, ‘এ আন্দোলন কোন রাজনৈতিক দলের আন্দোলন নয়। এটি সাধারন শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। তবে এই আন্দোলনে বামদের নৈতিক সমর্থন থাকতেই পারে।’

সংবাদ সম্মেলনে সোমবারের কর্মসূচীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহনের আহবান জানানো হয়।

উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন। রোববার সকাল ১১ টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাথে এক মতবিনিময় সভায় নীল দলের নেতারা একথা জানান।

তবে এ আন্দোলনে যেন তৃতীয় কোন পক্ষ যোগ দিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্যও অনুরোধ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের নেতারা।

পছন্দের আরো পোস্ট