ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক বিশেষ বক্তৃতা

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উদ্যোগে “What are Universities for – in the 21 Century” শীর্ষক এক বিশেষ বক্তৃতা শনিবার (২০ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ডারবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চ্যান্সেলর স্যার ক্রিস্টোফার জন এলিংগার বল এই বক্তৃতা প্রদান করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।

Post MIddle

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রো-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষগণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এ ধরণের বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশের শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে এই বক্তৃতা কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সাধারণ মানুষের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াতে তৎকালীন অবিভক্ত ভারতবর্ষে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। মানব সভ্যতার উন্নয়নের লক্ষ্যে জ্ঞানের আলোকবর্তিকা হিসাবে তখন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষিত বিভিন্ন প্রজন্মের গবেষকগণ ইতোমধ্যেই দেশ-বিদেশে নিজেদের মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন।

উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণতন্ত্র, সমতা, উদারতা, শান্তি, মানবাধিকার, দারিদ্র বিমোচন, অসাম্প্রদায়িকতা, বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি সাধন, সাংস্কৃতিক উন্নয়ন তথা মানবতার সার্বিক উন্নয়নে সর্বদা ভূমিকা রেখে চলেছে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত জনসম্পদ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এই জনসম্পদকে যথাযথ সদ্ব্যবহার করতে পারলে অচিরেই সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করা সম্ভব হবে। উপাচার্য সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, সহিংসতা ও ধর্মান্ধতা মুক্ত বিশ্ব গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালানোর জন্য শিক্ষাবিদ ও নিরাপত্তকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

যুক্তরাজ্যের ডারবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চ্যান্সেলর স্যার ক্রিস্টোফার জন এলিংগার বল বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে মৌলিক গবেষণা ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মূখ্য ভূমিকা পালন করা উচিত। তিনি সত্য অনুসন্ধানের লক্ষ্যে মনকে সর্বদা উন্মুক্ত রাখার জন্য তরুণ জনগোষ্ঠীর প্রতি আহ্বান জানান। ##

পছন্দের আরো পোস্ট