আরও চারটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে

ujc20160308112939নতুন আরও চারটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে এরই মধ্যে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সম্মতি নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খসড়া আইন তৈরির কাজ করছে।

 

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা, জামালপুর, বগুড়া ও চাঁদপুরে চারটি সরকারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর উচ্চশিক্ষা সম্প্রসারণে সম্প্রতি পৃথক পৃথক চিঠিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি’কে এসব বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের কথা জানায়। পাশাপাশি, ইউজিসি’কে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খসড়া আইন তৈরির ব্যাপারেও তাগিদ দেয় মন্ত্রণালয়। ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান এ বিষয়ে বলেন, চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খসড়া আইন প্রণয়নের কাজ আমরা দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি। সরকার উচ্চশিক্ষাকে সবার নাগালে নিয়ে আসতে চায় এবং উচ্চশিক্ষার জন্য রাজধানীমুখী প্রবণতা কমাতে চায়। প্রযুক্তিশিক্ষার সম্প্রসারণ বর্তমান সরকারের একটি মূল লক্ষ্য।

 

Post MIddle

অনুসন্ধানে জানা যায়, নেত্রকোনায় প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে অর্থাৎ ‘শেখ হাসিনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ নামকরণ করা হবে। জামালপুরের প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টির নামকরণ করা হবে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’। অন্য দুইটি প্রতিষ্ঠানের নামকরণ হবে যথাক্রমে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে। বর্তমানে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৮ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৯৪টি। এসবের সিংহভাগই রাজধানী বা বিভাগীয় শহরকেন্দ্রিক। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জেলা পর্যায়ে স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়ায় সুফল পাবেন মফস্বলের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি প্রক্রিয়াটি শিক্ষার্থীদের ঢাকামুখী প্রবণতা কমাতেও সহায়ক হবে।

 

জানা গেছে, শেখ হাসিনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খসড়া আইন তৈরির তাগিদ দিয়ে ইউজিসি’কে পাঠানো পত্রে মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি অনুযায়ী শেখ হাসিনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নিমিত্তে যুগোপযোগী একটি খসড়া আইন প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। দেশে এবং বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে পারে এবং উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা যায়, এরূপ বিধান আইনের অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।’ মন্ত্রণালয় থেকে ২১ জুন পত্রটি ইউজিসি চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়, যাতে স্বাক্ষর করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শেহনাজ সামাদ।#

 

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট