ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক শিক্ষা ক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, শিক্ষার আদর্শিক ও প্রায়োগিক দিক বিবেচনা করে সকলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন )নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে সভাপতির অভিভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

 

অধিবেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামানসহ সিনেট সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তার অভিভাষণে তরুণ প্রজন্মকে কৃতী শিক্ষক, নিষ্ঠাবান বিজ্ঞানী, সফল ব্যবসায়ী, বিচক্ষণ ও বিশ্বমনস্ক রাজনীতিবিদ হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য সুশীল সমাজ, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিবিদ, শিল্প-উদ্যোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

 

তিনি বলেন, দেশের শিক্ষিত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিকাশসাধন, আমাদের ভাষা আন্দোলন, বুদ্ধির মুক্তি-আন্দোলন, ৬-দফা আন্দোলন, ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল সংগ্রাম ও সংকটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গৌরবদীপ্ত ভূমিকা পালন করে এসেছে। দেশের সমাজ ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই শিক্ষাঙ্গনকে আরো গতিশীল ও সমৃদ্ধ করতে হবে। বর্তমান শতকের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়েই আমাদের শিক্ষা পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।

 

Post MIddle

’বিশ্ববিদ্যালয় দলীয়করণ হচ্ছে এবং শিক্ষাকে দলীয় রাজনীতি থেকে মুক্ত করতে হবে’ এধরণের আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে উপাচার্য বলেন, সকল নাগরিকের রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। তবে শিক্ষকের পেশাগত কার্যক্রম ও আচরণ তার রাজনৈতিক দর্শনে প্রভাবিত না হওয়াই কাম্য। শিক্ষক যখন পরীক্ষা গ্রহণ করেন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেন, তখন তিনি দলীয় কর্মী নন। তার অবস্থান তখন বিচারকের মতো। উপাচার্য শিক্ষার বিষয়গত সম্প্রসারণ ও প্রায়োগিক ক্ষেত্র প্রসারিত করতে চলতি বছরে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন।

 

উপাচার্যের অভিভাষণের পর ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের ৬৬৪ কোটি ১১ লাখ টাকার রাজস্ব ব্যয় সংবলিত প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে ৬০৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে ৪১ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। ফলে এবছর বাজেটে ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঘাটতি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। অধিবেশনে ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের ৫৫৫কোটি ১১ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেটও উপস্থাপন করা হয়।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের পদটি বর্তমানে শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দীন বিশেষ আমন্ত্রণে সংশোধিত ও প্রস্তাবিত বাজেটের সার-সংক্ষেপ পেশ করেন। পরে সিনেট সদস্যগণ বক্তব্য রাখেন।##

 

এমএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট