ক্যাম্পাসে রমজানের আমেজ

হিজরি চন্দ্রবর্ষের নবম মাসের আরবি নাম রমাদান। ফারসি, উর্দু, হিন্দি ও বাংলা উচ্চারণে এটি হয় রমজান। রোজা বা সাওম হল সুবহে সাদিক থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার থেকে বিরত থাকা। এ মাসে মুসলিমগণ অধিক ইবাদত করে থাকেন। কারণ অন্য মাসের তুলনায় এ মাসে ইবাদতের সওয়াব বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়া হয়। মাহে রমজানের রোজা মুমিন বান্দাদের আত্মাকে নবশক্তিতে বলিয়ান করে। ইসলামের প্রথম স্তম্ভ নামাজ যেমন মুমিনদেরকে শিক্ষা দেয় শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তী হওয়ার তেমনি মাহে রমজানের রোজা শিক্ষা দেয়, তাক্‌ওয়া, সহিষ্ণুতা ও সংযম।

 

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম ধর্ম পালনকারী শিক্ষক শিক্ষার্থীরা প্রতিবারের মত উৎসাহ উদ্দিপনার মাধ্যমে রমজানকে স্বাগত জানিয়েছেন আত্ন-সংযমের মধ্যদিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন, পুরাতন বা শিক্ষাজীবন শেষ করা শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিবারের ন্যায় রোজা পালন করার পাশাপাশি যোগ হয়েছে অনেক নতুন প্রাপ্তি এবং বিগত বছরগুলোর কয়েকটি স্মৃতির পাতা।

 

ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান রুহানী বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার রোজার সময় একটু বেশী। তবে এবার রোজা রাখতে বেশ ভালই লাগছে। ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সাথে কিংবা আল্লাহর ইবাদাতে সময় কাটছে। ইফতার বেশীরভাগ সময় বড় ভাইদের সাথে অথবা মাঝে মধ্যে মামা কিংবা বন্ধুদের সাথে করা হয় ।

 

ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল রিতু বললেন, মেস লাইফ সম্পর্কে, মেস এ থাকতে হয় বলে রুমমেট এবং বড় আপুদের সাথেই সেহরী, ইফতার এবং অন্যান্য সময় কেটে যায় । রোজাতো মাত্র শুরু হল, নতুন প্রাপ্তি বলতে এখন ও কিছু নেই। পরিবারের জন্য মন খারাপ হয় মাঝে মাঝে। কিন্ত গত ২ বছর ধরে এখানেই রোজার সময় টা কাটাচ্ছি বলে অভ্যাস হয়ে গেছে।

 

Post MIddle

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তৌফিকুর রহমান জানান তার মনের কথা এভাবে, গত বছরের ন্যায় এবারও রোজা রাখছি নিয়মিত। তবে গত বছর অনেক বড় ভাইদের সাথে সেহরী ও ইফতার করেছি যারা এখন নেই , তাদের অভাবটা নতুনদের মাধ্যমে কিছুটা পুরণ হলেও তাদের ভীষণ মনে পড়ে ।
নতুনদের মতই সদ্য শেষ হওয়া শিক্ষার্থীরা রমজানে রোজা পালন করছে নতুন ভাবে যা কাউকে স্মৃতির পৃষ্ঠাগুলো মনে করতে বাধ্য করাচ্ছে আবার কেউ বাস্তবতার সাথে তাল মিলিয়ে আবিস্কার করেছেন নতুনত্ব ।

 

সমাজ কর্ম ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী খাদেমুল ইসলাম মনে করেন, রমজান সব সময়ই একই রকম ভাবে পালন করা হয় ।শুধু কিছু মানুষ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয়েছে । তবে তাদের ভীষণ অভাব অনুভব করি সেহরী এবং ইফতারের সময় গুলোতে ।

 

ফার্মেসী বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মৌসুমী আক্তার গত বছরের রমজানের সময়কে মিস করে বলেন তবুও তিনি খুশি যে পরিবারের সাথে রমজানে বাড়ি থেকে রোজা পালন করতে পেরে ।
আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষক মোঃ আব্দুস সালাম রমজানের সময় গুলোকে কাজে লাগানোর জন্য সকলের প্রতি আহ্বান রেখে বলেন, “রমজান মাসের প্রতিটি মুহূর্তকে যেন কাজে লাগানো যায়, সে প্রচেষ্টা চালানো উচিত। কেননা এ মাস আমলের মাস। ইবাদতের মাস।প্রতি রমজানেরই উদ্দেশ্য ও কর্যক্রম অভিন্ন। তাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত-এবাদতের মাধ্যমে রমজান মাস অতিবাহিত করা।তবে গত বছর আর এবছরের মধ্যে শুধুমাত্র স্থানগত পরিবর্তনের কারনে অনেকগুলো নতুন মুখ দেখতে হচ্ছে আর অনেকগুলো মুখ চোখের আড়ালে রয়েছে”।#

 

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট