সঞ্চয় দিয়ে বালিকা বিদ্যালয় গড়েছেন নার্স রেখা

1464201720ক্যান্সার আক্রান্ত একজন নার্স অবসরকালে পাওয়া টাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন একটি নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। জানা গেছে, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া বরুয়া গ্রামের কুমারী রেখা রাণী ওঝা বর্তমানে ক্যান্সারে আক্রান্ত। সে নিজ প্রচেষ্ঠায় লেখাপড়া করে নার্সের চাকরি নেন। ২৮ বছর পর অবসর গ্রহণ করে শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে নিজ গ্রামে নিজ নামে ‘কুমারী রেখা রাণী নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ওই বিদ্যালয়ে বর্তমানে শতাধিক ছাত্রী বিনা বেতনে লেখাপড়া করছে।

 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পংকজ কুমার বৈদ্য জানান, বিদ্যালয়টির সকল খরচও চালান রেখা রাণী। বিদ্যালয়টি এখনো পাঠদানের অনুমতি পায়নি। যে কারণে পরীক্ষা দেবার সময় অন্য বিদ্যালয়ের হয়ে অংশ নিতে হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দা প্রমথ রঞ্জন দত্ত, মধুসূদন হালদার, পবিত্রা মজুমদার, শংকরী হাজরা বলেন, সারা জীবনের সাধনা দিয়ে রেখা রাণী এ বিদ্যালয়টি গড়ে তুলেছেন। এলাকাবাসীও তাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

 

ওই বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী রিপা বাড়ৈ, ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সুইটি হালদার, ৭ম শ্রেণির ছাত্রী তন্দ্রা হালদার, আঁখি বালা জানায়, বিদ্যালয়ে তাদের শুধু পুঁথিগত শিক্ষাই নয়— এর পাশাপাশি নিজেদের জীবন গড়তে নানা শিক্ষা দিয়ে থাকে। সাংস্কৃতিক বিষয়ে তাদের শিক্ষা দেয়া হয়। বাড়ির কাছাকাছি বিদ্যালয়টি থাকায় তাদের সুবিধা হয়েছে অনেক। তা ছাড়া দূরের বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার সময় বখাটেদের উপদ্রবও পোহাতে হয় না।

 

Post MIddle

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেখা রাণী জানান, আমি যখন স্কুলে যেতাম তখন এলাকায় নারী শিক্ষার তেমন প্রসার ঘটেনি। তাই ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল নারী শিক্ষার জন্য একটি বিদ্যালয় স্থাপন করা। নিজের অর্থ দিয়ে মেয়েদের জন্য এ বিদ্যালয়টি স্থাপন করেছি। এ বিদ্যালয়টির মাধ্যমেই সবার মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, বিদ্যালয়টি অনুমোদনের জন্য আমরা শিক্ষা বোর্ডে একটি পত্র দিয়েছি।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা বলেন, আমরা উপজেলা পরিষদ থেকে বিদ্যালয়টিতে একটি ভবন করে দিয়েছি। আগামীতে বিদ্যালয়টির উন্নয়নে আমরা আরো কাজ করব।#

 

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট