মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা

19.03.2016কোরআনের আলোকে ইসলামের জ্ঞান সৃষ্টি করে মানব কল্যানে ব্যবহার করতে হবে। কিছু কিছু মানুষ নিজের স্বার্থের জন্য ইসলামকে বিতর্কিত করছে। আমরা কাউকে খুন করে, বোম মেরে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবোনা। জ্ঞান অন্বেষণ, গবেষণা ও জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবো। ইসলাম ধর্ম প্রসার ঘটাবো। আজ (১৯ মার্চ,২০১৬) চট্টগ্রামের এন.মোহাম্মদ কনভেনশন সেন্টারে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ‘মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির ভাষণে শিক্ষামন্ত্রী জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ এম.পি, এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, দিনবদলের অঙ্গীকার নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমরা দেশের কর্মকান্ড পরিচালিত করছি, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি, মাদরাসা শিক্ষা দিনদিন আধুনিকীকরণ হচ্ছে। সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। ডিজিটাল কনটেন্ট এর মাধ্যমে-৫ হাজার পাঁচ শটি মাদরাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ চালু করা হয়েছে। ৯ হাজার ৪শটি মাদরাসায় ডায়নামিক ওয়েব পোর্টাল খুলে দেওয়া হয়েছে। ইন্টারেকট ও ডিজিটাল বই তৈরী করার কাজ চলছে। সকল মাদরাসাকে ই-সেবা দেওয়ার কাজ চলছে। এর ফলে মাদরাসা শিক্ষকদের আর শিক্ষা বোর্ডে যেতে হবে না। আওয়ামীলীগ সরকার ১ হাজার ১শ ৩০টি মাদরাসা ভবন নির্মাণ করেছে। নৈতিক শিক্ষার মূল ভিত্তি হচ্ছে ইসলাম। এ কারণে শিক্ষানীতিতে এই শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের ১০টি মাদরাসায় অনার্স কোর্স চালুু করা হয়েছে। আলাদা আলাদা মাদরাসা অধিদপ্তর করা হয়েছে। মাদরাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট করা হয়েছে।

 
অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচকের বক্তৃতায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে দীর্ঘ ১০০ বছরের যে চাওয়া ছিল, সে লক্ষ্য পূরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণে সার্বিক সহযোগীতা করার জন্য চট্টগ্রামবাসীকে আহ্বান জানান।

 

Post MIddle

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ সভাপতির বক্তব্যে বলেন,কুরআন শিক্ষার আলোকে জীবনযাপন ও এ শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচীর কথা তুলে ধরেছেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ তাঁর সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নের সহযোগীতা কামনা করেন।

 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন এর মহাসচিব মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর এ.কে এম ছায়েফ উল্যা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সেকান্দার চৌধুরী, চবি রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল হুদা, যুন্ম-সচিব নাজমুল হক, প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা, প্রফেসর ড. শিরীন আখতার, জাকির হোসেন, ড. মুইনুদ্দিন খান, জনাব মো. রোশন খান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ ছিদ্দিকী, পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত), ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ও ৩১০টি ফাযিল এবং ৫৩টি কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার জনাব ফাহাদ আহমদ মোমতাজী এবং দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার ড. এম. আবু হানিফা।

 

 

পছন্দের আরো পোস্ট