চুয়েটে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

Untitled-1চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)- এ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৬ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচিতে পালিত হয়েছে। সকালে প্রভাত ফেরীর মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধঃনমিত করণ, শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন, আলোচনা অনুষ্ঠান, শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ,শিশু-কিশোরদের কবিতা আবৃত্তি,শিশু-কিশোরদের উপস্থিত বক্তৃতা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, শিশু-কিশোরদের দেশাতœবোধক গান, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান প্রভৃতি। অনুষ্ঠানমালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো: হযরত আলী, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুল আলম, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো: মোস্তফা কামাল।

 

 

চুয়েটের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন হল প্রভোষ্ট এর পক্ষ থেকে অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুরমার সূত্রধর, শিক্ষক সমিতির পক্ষে সমিতির সাধারন সম্পাদক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, কর্মকর্তা সমিতির পক্ষে সমিতির সাধারন সম্পাদক জনাব মোঃ আমীন মুসা ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী চৌধূরী, কর্মচারী সমিতির সভাপতি জনাব মো: জামাল উদ্দীন সমিতির ও সাধরন সদ্যস্য মোঃ আব্দুল কাদের, ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে সৈয়দ ইমাম বাকের ( এমই-১১) বিভাগ ও মোঃ আবদুর রহমান কাকন ( ইইই-১১) বিভাগ। সঞ্চালনায় ছিলেন অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন

 

 

Post MIddle

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি চুয়েটের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাষ্ট্র, সমাজ ও ব্যক্তি জীবনে মহান একুশের প্রভাব অনেক। মহান ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি। মহান একুশে যুগিয়েছে অপরিমেয় শক্তি ও সাহস। একুশের পথ ধরে আমরা গণঅভ্যুত্থান পেরিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতি জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পেয়েছি স্বাধীন দেশ। এখন নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সেই দেশকে গড়ে স্বপ্নের উন্নত দেশের চলমান অগ্রযাত্রায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আতœনিয়োগ করতে হবে।

 

বিশেষ অতিথি চুয়েটের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, বাঙালী ও বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, বাংলা ভাষা ও একুশে ততদিন থাকবে অমলিন। কারণ একুশের শিকড় বাঙালীর চেতনার গভীরে। একুশ বাঙালীকে অন্যায়-অবিচার ও অধিকারহীনতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছে।#

 

 

লেখাপড়া২৪.কম/আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট