বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আগামীর করণীয় গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের ‘বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আগামীর করণীয়: জাতীয় সপ্তবার্ষিক কর্মপরিকল্পনার একটি প্রস্তাবিত রূপরেখা’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব এবং তা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) প্রকাশিত এই গ্রন্থ নিয়ে ২৫ মার্চ ২০২৪ সোমবার রাজধানীর ইউপিএল এর প্রধান কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, মুদ্রা পাচার, ঋণ খেলাপি ও মধ্যসত্ত্বভোগীরা
বাংলাদেশের মূল সমস্যা। এদের কারণে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। এখনও তাদের কারণে প্রতি বছর বাংলাদেশের ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়ে যায়। সরকারের আমলা থাকার সুবাদে ভেতরের অনেক খবর জানা ছিল। বঙ্গবন্ধুর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে ও আস্থাভাজন হিসেবে কাজ করেছি। পড়ালেখা ও শিক্ষকতার সাথে যুক্ত থাকার সুবাদে মনে করি যে বিষয়গুলো নিয়ে জনপরিসরে আলোচনা হওয়া দরকার।

Post MIddle

সিপিডি’র ডিস্টিংগুইশড ফেলো অধ্যাপক ড. রওনক জাহান বলেন, ড. ফরাসউদ্দিনের
বইটি নীতি নির্ধারকদের জন্য লেখা হলেও পাঠাকেরাও উপকৃত হবেন। তাঁর বইয়ে উল্লিখিত ঋণখেলাপির বিষয়ে আশির দশক থেকে কথা হচ্ছে, ব্যাংকিং কমিশনের বিষয়ে বলেছেন লেখক। বহু বছর ধরে আমরা অনেক কথা বলছি, কিন্তু সেসব নিয়ে সরকার কিছু করছে না।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য
আব্দুল বায়েস বলেন, এই বইয়ে ১৪টি বিষয় নিয়ে লেখক আলোচনা করেছেন। এখন সর্বত্র আলোচনার বিষয় মূল্যস্ফীতি। এর নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থার কার্যকরী ভূমিকা রাখার পরামর্শ লেখক দিয়েছেন। এবং বড়ো বড়ো করদাতার কাছ থেকে কর আদায় করা গেলে দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতি অনেক বাড়বে বলে উল্লেখ করেছেন।

একাত্তর টেলিভিশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু বলেন বইটি ‘সুশাসনের নির্দেশিকা’। দেশে  এখন অসুস্থ মুক্তবাজার বিরাজ করছে। দেশের সব সেক্টরের যা কিছু অর্জন হচ্ছে তা ফুটো দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। এই লিকেজ বন্ধ না করা গেলে উন্নয়ন ধরে রাখা যাবে না। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইউপিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহ্‌রুখ মহিউদ্দীন।

পছন্দের আরো পোস্ট