সিকৃবিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

মো.সাজিদ আল সাদেক।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে সিকৃবির জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখ থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞার নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর, প্রক্টরিয়াল বডি, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
শোভাযাত্রা শেষে সকাল ১০টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এ সময় পুষ্পস্তবক অর্পন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি, শিক্ষক সমিতি, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ, প্রভোস্ট কাউন্সিল, অফিসার পরিষদ, সিকৃবি ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, কর্মচারী পরিষদ ও কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ।
এরপর শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আল মামুনের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
Post MIddle
আলোচনা অনুষ্ঠানে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, “অনেক সংগ্রাম ও প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়েও দেশের প্রতি ঐকান্তিক ভালবাসার টানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আমরা যদি পরস্পরকে ও দেশকে ভালোবাসি তবে দেশ এগিয়ে যাবে। তাই সকলকে মুজিব আদর্শ ও চেতনা বুকে লালন করে দেশ সেবায় এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও স্ব স্ব দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।”
এরপর সকলের উপস্থিতিতে সাউরেস ভবনের পার্শ্বে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালন করা হয়। এছাড়া পাঠশালা একুশের সহযোগিতায় জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বিকাল ৪ টায় প্রায় ১২০ জন শিশু ও কিশোরকে ইফতার বিতরণ করা হয়।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তদানীন্তন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় পিতা শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতা সায়েরা খাতুনের ঘর আলোকিত করে জন্মগ্রহন করেন শেখ মুজিব নামের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। পরাধীনতার নিকষ অন্ধকারে নিমজ্জিত বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে মুক্তির প্রভাকর রূপে জন্ম নেওয়া শিশুটি শিক্ষা-দীক্ষা, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, মহত্তম জীবনবোধ, সততা, সাহস, দক্ষতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে হয়ে ওঠেন বাংলাদেশ নামক স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি।
উল্লেখ্য, বিশেষ এই দিনের স্মরণে ১৯৯৬ সালে প্রথম বাংলাদেশে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর দরদ ছিল অপরিসীম। শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন তিনি। তার জন্মদিনে তিনি শিশুদের সঙ্গে কাটাতে পছন্দ করতেন। ওইদিন শিশুরা দল বেধে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে যেতো। এসব সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে তার জন্মদিনটাতে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। শেখ মুজিবুর রহমানের কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন অসামান্য গৌরবের। তার এ গৌরবের ইতিহাস থেকে প্রতিটি শিশুর মাঝে চারিত্রিক দৃঢ়তার ভিত্তি গড়ে উঠুক, এটাই জাতীয় শিশু দিবসের মূল প্রতিপাদ্য।
পছন্দের আরো পোস্ট