কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

জাককানইবি প্রতিনিধি।

‘সুস্থ দেহে সুন্দর মন/ ক্রীড়াই শক্তি ক্রীড়াই বল’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (৪ মার্চ) সকালে স্কুল সংলগ্ন শেখ রাসেল শিশুপার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কোমলমতি শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য-সচিব নগরবাসী বর্মনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আজকে যারা পুরস্কার পেয়েছে তাদেরকে আমার স্নেহ ও শুভকামনা জানাই। যারা পুরস্কার পায়নি তাদেরও মন খারাপ করার কিছু নেই। খেলাধুলোতে অংশগ্রহণটাই মূল কথা। আমাদের সন্তানরা অত্যন্ত প্রিয়। তাদেরকে আমরা ভালোবাসবো। তাদেরকে যেন মানসিক চাপ আমরা না দেই।

Post MIddle

শেখ রাসেল শিশুপার্কের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতে শিক্ষক-অভিভাবক ও শিশুদের পরামর্শ দিয়ে প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, এই শেখ রাসেল শিশুপার্কের সর্বোচ্চ ব্যবহার শিশুদের করতে হবে। এখানে তোমরা দৌড়াদোড়ি করবে, স্থাপিত রাইডগুলো ব্যবহার করবে। ঘরে পড়াশোনা করবে এখানে এসে খেলবে। পার্কের মুক্তমঞ্চে ছেলেমেয়েদেরকে দিয়ে ছোট ছোট অনুষ্ঠান করাবেন। কবিতা, গান, কৌতুকের অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। পার্কের নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্য দিয়ে সকলের সহযোগিতায় একটি নিরাপদ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত ও বসবাসকারী নারীরা এখানে একটি ‘লেডিস ক্লাব’ তৈরি করতে পারেন। তাহলে আপনারা নিজেদের মধ্যে ক্লাবের কাজকর্মে যুক্ত হয়ে আলাদা জগতে প্রবেশ করতে পারবেন।

অচিরেই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ‘ডে কেয়ার সেন্টার’ তৈরি করা হবে বলে ঘোষণা দেন উপাচার্য। তিনি বলেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজ ভবন করা হচ্ছে। এই ভবন করার সাথে সাথে এখানে একটি ‘ডে কেয়ার সেন্টার’ করবো। এটি আমাদের খুব প্রয়োজন।

এ সময় প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মাসুম হাওলাদার, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা লোপা রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করে নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুশফিকুর রহমান (হীরক মুশফিক)।

পছন্দের আরো পোস্ট