চবিতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী

চবি প্রতিনিধি।

গতকাল (১৯ জানুয়ারি ২০২৪) সোমবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে দু’দিন ব্যাপি কেন্দ্রীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ শুরু হয়েছে। উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চবি শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আনিসুল আলম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীতের সুর ও মুর্চ্ছনায় উপাচার্য জাতীয় পতাকা, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা, স্ব স্ব হলের প্রভোস্ট হল পতাকা ও শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক অলিম্পিক পতাকা উত্তোলন করেন।

Post MIddle

প্রতিযোগীতায় মশাল হাতে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন দুই কৃতি ক্রীড়াবিদ নুসরাত জাহান তৃণা এবং মোহাম্মদ সজীব। উপাচার্য বিচারকবৃন্দের পক্ষে প্রধান বিচারক চবি বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মোঃ দানেশ মিয়াকে এবং ক্রীড়াবিদদের পক্ষে কৃতি ক্রীড়াবিদ মোঃ শফিউল্লাহকে শপথ বাক্য পাঠ করান। ব্যান্ডের তালে তালে অনুষ্ঠিত ক্রীড়াবিদদের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ উপাচার্য ও অতিথিবৃন্দ উপভোগ করেন এবং তাদের অভিবাদন গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, অনুষদসমূহের ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, কলেজ পরিদর্শক, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট এবং গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, হলের আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক ক্রীড়ামোদী শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ ও সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এবারের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হলসমূহ হতে ৩০টি ইভেন্টে ২৭৫ জন ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। এছাড়াও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ইভেন্টে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চ.বি. শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. রাশেদ বিন আমিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন চ.বি. কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র মোয়াজ্জিন হাফেজ শাহা মোঃ আজম, পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন প্রবীন সেন, পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ করেন কংকন বড়ুয়া অন্তু এবং পবিত্র বাইবেল থেকে পাঠ করেন আকাশ ত্রিপুরা।

পছন্দের আরো পোস্ট