খুবিতে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ (বাংলা নববর্ষ-১৪৩০) উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সকাল ১০.৩০ মিনিটে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সমবেত কণ্ঠে এসো হে বৈশাখ, এসো.. এসো … বর্ষ আবাহন সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।

এসময় উপস্থিত সকলকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা। তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। এ দিনটিকে ঘিরে খুলনার সকল পর্যায়ের মানুষ এখানে একত্রিত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। শিক্ষার্থীদের নানা রকম কারুকার্যে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান সকলের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। এজন্য আমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এ অনুষ্ঠানে আগত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন, বিগত বছরের হাসি-কান্না-সুখ-দুঃখ ভুলে নতুন করে পথচলা শুরু হোক নববর্ষের মাধ্যমে- এটাই প্রত্যাশা করি।

Post MIddle

পরে বেলা ১১টায় উপ-উপাচার্য বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের হাদী চত্বর থেকে শুরু করে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবন, বিশ্ববিদ্যালয় মেইন গেট হয়ে কটকা স্মৃতিস্তম্ভ থেকে হাদী চত্বরে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় নানা রঙের ফেস্টুন, প্লাকার্ড, মুখোশ, রঙিন মাটির সরাসহ বিভিন্ন আকার ও রকমের শিল্পকর্মসহ বর্ণিল সাজ ছিলো নজরকাড়া।

শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, বিভিন্ন স্কুলের ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধানবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, আয়োজক কমিটির সভাপতি চারুকলা স্কুলের ডিন, কমিটির সদস্য-সচিব ছাত্র বিষয়ক পরিচালকসহ শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন। এছাড়াও বাইরের প্রচুর সংখ্যক মানুষ সপরিবারে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন নববর্ষ উদযাপনে।

পছন্দের আরো পোস্ট