হাসিমুখের ফল উৎসব

রায়হান আবিদ,বাকৃবি প্রতিনিধি।

বাংলাদেশের ছয় ঋতুর একটি গ্রীষ্মকাল। এসময় সবচেয়ে বেশি ফলের সমাহার দেখা যায়। মৌসুমি ফলের ঘ্রাণে চারপাশ ম-ম ঘ্রাণে ভরে যায়। বিভিন্ন প্রজাতির ফলের সমাহার নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি)‘ফল উৎসব-২০২২’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জুন) বাকৃবির কৃষি অনুষদের করিডোরে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠানটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসিমুখের উদ্দ্যোগে আয়োজিত হয়।

Post MIddle

অনুষ্ঠানটির জন্য রাজশাহী থেকে আম, দিনাজপুর থেকে লিচু ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কাঁঠাল, ড্রাগন ফল, জাম, করমচা, জামরুল, তরমুজ, তেঁতুল, কলা, আনারস, পেঁপে, তালের শাস, ডালিম এবং লটকন সংগ্রহকরা হয়েছে। প্রায় বিশ প্রজাতির গ্রীষ্মের ফলের প্রদর্শন করা হয়। দুটি প্যান্ডেল সাজানো হয় যার একটিতে ফলের জুস অন্যটিতে কাঁটা ফল বিক্রির জন্য রাখা হয়। এছাড়া মৌসুমি ফলের উপকারীতা ও ফলের পুষ্টিগুণাগুণ নিয়ে বিভিন্ন সচেতনামূলক লিফলেট টানানো হয়।

উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক, প্যারাসাইটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শিরিন আক্তার, ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাতেমা হক শিখা। এছাড়াও হাসিমুখের সদস্যবৃন্দ ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

হাসিমুখের সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরাই প্রথম মধুমাস উদযাপন করার লক্ষ্যে উদ্দ্যোগ নিয়েছি। আমাদের সংগঠনটি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের সেচ্ছাসেবামূলক কর্মকান্ড করে থাকে। এবারও আমরা উৎসবটির মাধ্যমে অর্জিত সম্পূর্ণ লভ্যাংশ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের জন্য ব্যয় করা করবো। ’

পছন্দের আরো পোস্ট