বাকৃবির নতুন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সাইফুল

বাকৃবি প্রতিনিধি।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নতুন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পশুপুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম।মঙ্গলবার (০৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামী দুই বছরের জন্য অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলামকে ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. এম. জাকির হোসেন-এর স্থলাভিষিক্ত হবেন। তিনি আগামী ৮ মে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

শিক্ষা জীবনে কৃতিত্বের অধিকারী ড. সাইফুল ১৯৯৩ সনে বাংলাদেশ কৃষি  বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদ থেকে কৃতিত্বের সাথে পশুপালন অনুষদ থেকে স্নাতক এবং ১৯৯৬ সালে পশুপুষ্টি বিভাগ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী  লাভ করেন। পরবর্তীতে জার্মানির হোহেনহেইম ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০৫ সনে পিএইচডি ডিগ্রী এবং জার্মানীর পোস্টডাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১২ সনে পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন।

Post MIddle

ড. সাইফুল ১৯৯৭ সনে  বাকৃবির পশুপুষ্টি বিভাগে প্রভাষক, ১৯৯৯ সনে সহকারী অধ্যাপক, ২০০৬ সনে সহযোগি অধ্যাপক হিসেবে এবং পরবর্তীতে ২০১০ সনে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।

বর্তমানে তিনি বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  তিনি বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওর্য়াকশপ ও কনফারেন্সে যোগদান করে গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন । কর্মজীবনে তিনি পশুপুষ্টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, বাকৃবি প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহবায়ক, বাকৃবি পরিবহন শাখার পরিচালক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

ড. খান মো. সাইফুল  ১৯৮৯ সাল থেকে নাটক লেখা, পরিচালনা, নির্দেশনা ও অভিনয়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন । পরবর্তীতে টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলে অনেক নাটক প্রযোজনা ও পরিচালনা করেন। তার লেখা ও পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দুইটি নাটক মঞ্চস্থ করা হয় ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চারটি নাটক টেলিভিশনে প্রচারিত হয় । ড. সাইফুলের লেখা ১৯৯০ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক একটি নাটক বাকৃবিতে পিলসুজ সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক পুরস্কৃত হয়।

উল্লেখ্য, বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান প্রফেসর ড. এ.কে.এম. জাকির হোসেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস-চ্যন্সেলর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এই কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা পদটি ফাঁকা হয়ে যায়। নতুন নিযুক্ত ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার মেয়াদ আগামী দুই বছর।

পছন্দের আরো পোস্ট