মোস্লেম ভারত এবং নজরুল ও তাঁর অগ্রন্থিত রচনা শীর্ষক সেমিনার

জাককানইবি প্রতিনিধি।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে গবেষণা শুধু বড় বড় ভবনের মধ্যে সীমাবদ্ধ, বড় বড় বরাদ্দের মধ্যে সীমবদ্ধ। এই শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে এসে নির্মোহভাবে নজরুলকে নতুন করে গবেষকদের আবিষ্কার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য ও নজরুল গবেষক প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।

বুধবার (২০ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত ‘ মোস্লেম ভারত এবং নজরুল ও তাঁর অগ্রন্থিত রচনা’শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নজরুল বক্তৃতামালা-৬ এর ধারবাহিকতায় এবারের সেমিনারটি আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, বিদ্যাসাগর, জীবনানন্দ, বঙ্কিমচন্দ্র তাদের পঠন পাঠনের সঙ্গে কিন্তু নজরুলকে মেলানো যায় না। নজরুলকে নিয়ে লিখতে গেলে, চলচ্চিত্র বানাতে গেলে একটি পক্ষ মার মার করে চলে আসে। এই যে আবেগ সে আবেগের একটি ক্ষতির দিক আছে।

Post MIddle

প্রফেসর ড. সৌমিত্র বলেন, নজরুল গবেষণা ক্ষেত্রে দেখা যায়, নজরুলের আদর্শ আমি ধারণ করবো তা নয় বরং আমার আদর্শ আমি কোথায় কোথায় নজরুলে আছে সেটি হচ্ছে এক্সপ্লোরের মূল জায়গা। এভাবে নজরুলকে খন্ডিতভাবে তুলে ধরা হয়। নজরুল কিন্তু খন্ডিত হবার মানুষ নন। নজরুল একজন পরিপূর্ণ মানুষ যিনি একটি পরিপূর্ণ দর্শন জাতিকে দিয়েছেন। নজরুলকে নিয়ে যারা মাঠে ঘাঠে কাজ করে তাঁদেরকে খুঁজে বের করে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত করা দরকার।

নজরুলকে নিয়ে নির্মোহভাবে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে উপাচার্য সৌমিত্র শেখর বলেন, আমরা নজরুলকে নিয়ে আরও বৃহৎ পরিসরে কাজ করার চেষ্টা করবো। কেননা খুঁজলে নজরুলের এখনো অনেক কিছু পাওয়া যাবে। নজরুলের চিঠি, ডায়েরি এগুলো যদি আমরা পাই তাহলে সেটি একটি বিশাল কাজ হবে। ছাত্রছাত্রীরা যে গবষেণা প্রস্তাব আমাদের জমা দিয়েছে সেটি সত্যিই প্রশংসারযোগ্য। কেননা এরমধ্যে কিছু বিষয় আছে যা একদমই নতুন।

ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের অতিরিক্ত পরিচালক রাশেদুল আনামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তর পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সাহাবউদ্দিন, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরসহ গবেষক তত্ত্ববধায়কবৃন্দ ও অন্য শিক্ষকবৃন্দ।

বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন: বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সেমিনার কক্ষ ও বঙ্গবন্ধু কর্ণারের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে বিভাগে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এর উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। এসময় উপস্থিত ছিলেন ট্রোজারার প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বিভাগীয় প্রধান মাহমুদা শিকদারসহ অন্য শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।

পছন্দের আরো পোস্ট