চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ক কর্মশালা

বাকৃবি প্রতিনিধি।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ তৈরীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। দক্ষ মানব সম্পদ ছাড়া চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। শিক্ষাই হচ্ছে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরীর একমাত্র মূল ইস্যু এবং এ কাজে মূল ভূমিকা রাখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেই। আমাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন গ্রাজুয়েট তৈরি করতে হবে যাতে সীমিত সম্পদ কাজে লাগিয়ে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করা সম্ভব হয়। আজকে দেশের ১৭ কোটি মানুষ খাদ্যে সম্পূর্ণ স্বয়ংসম্পূর্ণ, এ বিরল সাফল্যে বাকৃবির অবদান সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে ১৩ মার্চ ২০২২ রবিবার সকালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এর আয়োজনে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয়’ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এর সদস্য ও ইনোভেশন টিমের আহবায়ক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

Post MIddle

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা, এপিএ, মোঃ গোলাম দস্তগীর এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সচিব ড. ফেরদৌস জামান। এছাড়া কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. কাজী মুহাইমিন-আস-সাকিব।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর আলমগীর বলেন, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্ষমতা তৈরি, টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগানো এবং তরুণ প্রজন্মকে গবেষণায় আকৃষ্ট করতে ইউজিসি এই কর্মশালার আয়োজন করেছে। তিনি বলেন, এই আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ৪র্থ শিল্প বিপ্লব বিষয়ে তাদের করণীয় নির্ধারণ করতে পারবে এবং ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে গবেষণায় উদ্ধুদ্ধ হবে।

কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অনেক প্রথিতযশা গবেষক, শিক্ষাবিদ, সম্প্রসারণ কর্মী তৈরি করছে। এ দেশের টেকসই শিল্পায়ন কৃষি সেক্টরে ক্রপস, লাইভ-স্টক, ফিশারিজ, মেকানাইজেশান, ভ্যালু এডিশান, মার্কেটিং চ্যালেঞ্জ এসবের যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই সম্ভব। আর এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

কর্মশালায় ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন জোরদারকরণের লক্ষ্যে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল জোন এর ১১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১জন প্রতিনিধি, ইউজিসি এর ইনোভেশন টিমের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা রবিউল ইসলামসহ আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।

পছন্দের আরো পোস্ট