পুলিশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার পেল গবির সাবেক শিক্ষার্থী

সুপর্না রহমান, গবি প্রতিনিধি।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী পুলিশের এসআই মনসুর হোসেন মানিক পেয়েছেন ‘পুলিশ ফোর্স এক্সেমপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ’। ২০২০ সালের কল্যাণকর কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এই ব্যাজ প্রদান করা হয়৷ যা পুলিশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার।বৃহস্পতিবার ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশের ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) মনসুর হোসেনকে ব্যাজ পরে দেন এবং সম্মাননা সনদ প্রদান করেন।

পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, কর্মক্ষেত্রে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন, বাহিনীর মর্যাদা বৃদ্ধি হয়েছে এমন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রতি বছর পুলিশ সপ্তাহে আইজিপি ব্যাজে মনোনীত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের এ পদক দেওয়া হয়।

এছাড়াও যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জননিরাপত্তা বিধান,জনসেবামূলক কর্মকাণ্ড, মামলার রহস্য উদঘাটন, ভালো পুলিশিং, সরকারি ও ব্যক্তিগত কাজের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি বাড়ানোসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবদান রাখেন তাদের এ পদকের জন্য নির্বাচিত করা হয়।

Post MIddle

‘পুলিশ’ বলতেই যেরকম ছবি সাধারণত মনে ভেসে ওঠে, তার সঙ্গে মনসুর হোসেন মানিকের কোনো মিলই নেই। এই পুলিশ কর্মকর্তার পরিচিতি বরং কোমল হৃদয়ের মানুষ হিসেবে। যেদিন তিনি যে এলাকায় দায়িত্ব পালন করেন, সেই এলাকার ভাসমান মানুষ, ভিক্ষুক, ভবঘুরেরা উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন। কারণ,তাদের খাবার, পানি, মাস্ক, স্যানিটাইজার কিনে দেন মানিক। শুধু তাই নয়, করোনাকালে কাউকে হাসপাতালে নেওয়া দরকার, কারও চাই ওষুধ বা নগদ টাকা- সাধ্যমতো সব চাহিদাই পূরণের চেষ্টা চালান তিনি। সবই করেন নিজের বেতনের টাকায়। একজন মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তার পরিচিতি গড়ে উঠে বছরখানিক আগে। সহকর্মীসহ অনেকে এখন তাকে চেনেন ‘মানবিক মানিক’ নামে।

সাভার গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৩য় ব্যাচের শিক্ষার্থী এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সহ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। এ ছাড়াও গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রচার সম্পাদক এবং ইংরেজি বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

২০২০ সালে ভালো কাজের জন্য পুলিশ সুপার থেকে ছয়টি ক্যাটাগরিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যাজ দেওয়া হয়। ব্যাজ পাওয়া কর্মকর্তাদের পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে এবার নিজ নিজ দফতরে পৌঁছে দেওয়া হয় এই ব্যাজ। ব্যাজ পদকের পাশাপাশি প্রত্যেককে আর্থিক পুরস্কারও দেওয়া হয়।

পছন্দের আরো পোস্ট