ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি বিষয়ক কর্মশালা

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) এর সহায়তায় দিনব্যাপী সিলেট অঞ্চলে শিম জাতীয় ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ (২৩ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার কর্মশালার উদ্বোধন করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (সাউরেস) এর পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদের সভাপতিত্বে ও উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ দেবনাথের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার।

প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেজিএফ এর নির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক দীলিপ কুমার অধিকারী এবং কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আসাদ-উদ-দৌলা।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুল ইসলাম। কর্মশালায় বক্তারা সিলেট অঞ্চলে খরিপ ও রবি মৌসুমে পতিত মাঠে শিম জাতীয় ফসল আবাদের মাধ্যমে মাটির গুণাবলী বৃদ্ধিসহ প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের আয় বৃদ্ধির ব্যাপারে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

Post MIddle

এসময় তারা বলেন, সিলেট অঞ্চলের উপযোগী সিকৃবি শিম-১, সিকৃবি শিম-২, বারি শিম-১, গোয়ালগাবদা শিমসহ ফরাস বিচি, বরবটি আগাম চাষের মাধ্যমে কৃষকরা তাদের জীবনমান উন্নয়ন করতে পারবে।

তারা বলেন, শিম জাতীয় ফসল চাষ করে ৫০ থেকে ৫৫ দিনের মধ্যে ঘরে ফলন তোলা সম্ভব। বক্তারা নিরাপদ সবজি উৎপাদনের গবেষণা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

কর্মশালায় সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকি, নবীগঞ্জের সফল কৃষক এমরান হোসেন ও গোয়াইনঘাটের সফল কৃষক মোঃ রুহুল আমীন শিমের আগাম চাষ বিষয়ক পরামর্শ এবং অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন।

উল্লেখ্য উক্ত কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও কর্মী, এনজিও কর্মকর্তাসহ প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

পছন্দের আরো পোস্ট