রাবিতে জেল হত্যা দিবস পালিত

রাবি প্রতিনিধি।

আজ (৩ নভেম্বর) জেল হত্যা দিবস। দিবসটির স্মরণে স্থানীয় কাদিরগঞ্জে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের মাজারে উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া, উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম, রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুস সালাম, হল প্রাধ্যক্ষবৃন্দ, ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো. লিয়াকত আলী, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক ড. মো. আজিজুর রহমানসহ প্রশাসনের ঊর্ধতন কমকর্তা ও বিশিষ্ট শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সেখানে শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ অন্যান্য কয়েকটি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানও সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

 

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে এই আয়োজনে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর মো. আবুল কাশেম। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুস সালাম আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

প্রধান আলোচক তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতীয় চার নেতাই শুধু সফল রাজনীতিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম কান্ডারী ছিলেন না তাঁরা ছাত্র জীবনে ছিলেন অসাধারণ মেধাবী। তাঁদের যে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল তা দিয়ে তাঁরা খুব সহজেই সিভিল সার্ভিসে বা অন্য কোনো জায়গায় বড় চাকুরি পেতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা তা না করে শুধুমাত্র রাজনীতির মাধ্যমে জনসেবার জন্যই অগ্রসর হয়েছিলেন। জাতীয় চার নেতার কেউই অর্থের জন্য রাজনীতি করেননি। তাঁরা ছিলেন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ জনকল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ।
Post MIddle
প্রধান অতিথি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান বলেন, জাতীয় চার নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর রক্তবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাঁদের ভক্তি, বিশ্বাস ও আস্থা ছিল অতুলনীয়। এরকম অবিচল আনুগত্য বর্তমানে দেখা যায় না। তাঁদের চেতনা ও ত্যাগ থেকে বর্তমান প্রজন্মকে শিক্ষা নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তবন্ধু জাতীয় চার নেতার মিথস্ক্রিয়া ছিল অসাধারণ। তাঁদের সম্পর্ক এমন ছিল যে তাঁরা যেকোনো প্রলোভন প্রত্যাখান করতে পারতেন এবং এরকম অনেক প্রস্তাব তারা প্রত্যাখানও করেছিলেন।
প্রসঙ্গক্রমে উপাচার্য জানান যে শিক্ষার্থীদের বৃত্তির জন্য শহীদ কামারুজ্জামান ও জাহানারা জামান ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে পঁচিশ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে। ফাউন্ডেশনের এ মহতী উদ্যোগের জন্য উপাচার্য উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান।
পছন্দের আরো পোস্ট