বাড়ি বাড়ি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন স্কুল ফিডিং বিস্কুট
মেহেদী হাসান লিপন, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)সংবাদদাতা।
করোনা পরিস্থিতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বন্ধ থাকলেও বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ৃছাত্রীদের বাড়িতে বাড়িতে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন স্কুল ফিডিং বিস্কুট পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বুধবার এ বিস্কুট বিতরণ কর্মসূচির উদ্ধোধন করা হয়েছে। ষষ্ঠ বারের মত উপজেলার ৬ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫ শ’ প্যাকেট বিস্কুট পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বেসরকারি সংস্থা “রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন” মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ৩০৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ০৪ টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসায় স্কুল ফিডিং কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৩১৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৪৯৭২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ফেব্রুয়ারী মাসের বরাদ্ধ হিসেবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ২০ প্যাকেট বিস্কুট বাড়িতে গিয়ে বিতরণ করা হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক মোঃ রুহুল আমীন খান (অতিরিক্ত সচিব) নির্দেশনা মোতাবেক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. জালাল উদ্দিনের অনুমোদন সাপেক্ষে “রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন” আরআরএফ এর সকল কর্মীবৃন্দ মাঠ পর্যায়ে বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়ন করছে। এ কাজে প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ তাদের সহযোগীতা করছে।
২৪৮ নং রুপচাঁদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফারজানা বিথি বলেন, কোভিট -১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে বিস্কুট পৌছে দেয়ার অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা খুব খুশি। সংস্থার মনিটরিং এন্ড রিপোটিং অফিসার উজ্জল কুমার রায় বলেন, এ কর্মসূচির বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগী হিসাবে বাগেরহাট জেলায় আরআরএফ ২০১২ সাল হতে সুনামের সাথে কাজ করছে। স্কুল ফিডিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে শিশুদের যেমন পুষ্টিহীনতা দুর হচ্ছে, পাশাপাশি শিক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে এ কর্মসূচির ভূমিকা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রকল্প সমন্বয়কারী তাপস সাধু বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এই বন্ধকালীন সময়েও যেন স্কুল ফিডিং কর্মসূচি বাস্তবায়িত এলাকার কোন শিশু পুষ্টি চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ সরকার এই মহতি উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন ।