নারী দিবসের ভাবনা

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে দিবসটি। নারীদের ওপর হওয়া বৈষম্য, নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাগ্রত করাই এর মূল লক্ষ্য। দিবসটি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসের নারী শিক্ষার্থীদের ভাবনা জানার চেষ্টা করেছেন মো: বরাতুজ্জামান স্পন্দন।

নারী জীবন মুখ্য তিন ভাগে বিভক্ত। কন্যা, জায়া ও জননী। এই তিনটি অঙ্গকে সুন্দরভাবে বিকশিত করে তোলাটাই মূলত আদর্শ নারী শিক্ষা। বর্তমানে নারীরা শিক্ষা-দীক্ষায় পুরুষের পাশে দাঁড়ানোর অধিকার লাভ করলেও পরিবার ও সমাজ জীবনে এখনো বহু নারী আশানুরূপ শান্তি ও সন্তোষ লাভ করতে পারেনি। আর নারী যে পুরুষের চেয়ে অনেকাংশে সহানুভূতিপ্রবণ এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ তা বলাই বাহুল্য। একটা মেয়েকে নিয়ে পরিবার যত বিব্রত হয়, ছেলেকে নিয়ে কিন্তু ততটুকু নয়। এই জায়গায় পরিবর্তন আবশ্যিক। সেজন্য জেন্ডার সংবেদনশীল ভাষা ও তার প্রয়োগ জানতে হবে এবং নারীর প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে হবে। তবেই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের স্বার্থকতা, সফলতার মুখ দেখবে প্রতিটা নারী।

ফাতেমা তুজ জোহরা মিশু
ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস অনুষদ।গণ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিবছর ৮ মার্চ বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস। আমি গর্ববোধ করি, আমি একজন নারী। কারণ নারী হলো পরিবারের স্তম্ভ। নারীর অনুপ্রেরণা ছাড়া অনেক কিছুই সম্ভব নয়। বিশ্বজুড়ে এদিন সব মেয়েদের সম্মান জানানো হলেও আমি মনে করি শুধুমাত্র একটা দিবসে মেয়েদের আটকে রাখা উচিত নয়। কারণ আমরা স্বয়ংসিদ্ধা। আমরা এখন আর কারো উপর নির্ভরশীল নই। যেহেতু আমরা এখন পুরুষদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে সমানতালে কাজ করছি, তাই অধিকারের ক্ষেত্রেও সমতা প্রয়োজন। আর বাস্তবে এমনটাই হওয়া উচিত।

Post MIddle

তানজিলা আক্তার লিজা
ফার্মেসি বিভাগ। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বিশ্বজুড়ে লিঙ্গ সাম্যের উদ্দেশ্যে কাজ করা হয়। তাই এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়। প্রতিবছর এই দিনটি মানুষকে বারবার মনে করিয়ে দেয়, নারীরা পুরুষদের তুলনায় কোনো অংশে কম নয়। নারীদের প্রতি সমাজের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে দিবসটি তাৎপর্যপূর্ণ। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়াসে এগিয়ে যাচ্ছে নারীসমাজ। কিন্তু এই একটা দিন পালন করার মাধ্যমে আমরা সমাজকে বা সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিকে কতটুকু বদলাতে পেরেছি বা আদৌ পারবো কিনা তার প্রশ্ন থেকেই যায়। পরিবর্তন আসলে তখনই সম্ভব যখন আমরা ‘মেয়ে মানুষকে’ শুধু ‘মানুষ’ ভাববো।

ফাহমিদা ফারুক মাইশা
খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগ।ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকনমিক্স

বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে আলাদা করে একটি দিন শুধুমাত্র নারীদের জন্যই বিশ্বব্যপী বড় পরিসরে পালন করা হয়। নারীর অধিকার সম্পর্কে অবগত করা, নারীদের প্রতি বৈষম্য-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল লক্ষ্য। একজন নারী হিসেবে জন্মে আমি গর্ব করে বলবো, ‘আমি একজন নারী, আমি নারীর সমস্ত অধিকার নিয়ে জন্মেছি।’ প্রতিটি নারীর ঊচিত তার নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিকভাবে নারীরা সফল হচ্ছে, হবে। ‘ব্যালেন্স ফর ব্যটার’ এই হোক প্রতিটি নারীর সামনে এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র।

ইশরাত জাহান মীম
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ।সফিউদ্দীন সরকার একাডেমী এন্ড কলেজ

পছন্দের আরো পোস্ট