নতুন চলচ্চিত্র ‘মুক্তি’ নিয়ে মুখোমুখি কায়েস আরজু

ফয়সাল হাবিব সানি।

ঢাকাই সিনেমার উল্লেখযোগ্য চিত্রনায়ক কায়েস আরজু। ২০০৭ সালে হাছিবুল ইসলাম মিজান পরিচালিত দতুমি আছো হৃদয়ে’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বড়ো পর্দায় আগমন ঘটে এ চিত্রনায়কের। শামীমুল ইসলাম শামীম পরিচালিত কায়েস আরজু-পরীমনি অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা আমার প্রেম আমার প্রিয়া’ মুক্তি পায় ২০১৯ সালে।

সম্প্রতি, পরিচালক ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত দমুক্তি’ নামক ভিন্নধারার নতুন একটি চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করেছেন হালের প্রতিশ্রুতিশীল এ অভিনেতা। এই চলচ্চিত্র নিয়েই জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত অভিমত ও প্রত্যাশা-প্রাপ্তির কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জনপ্রিয় তরুণ কবি ও সাংবাদিক ফয়সাল হাবিব সানি।

 

ফয়সাল হাবিব সানি: আমরা জানি যে, ইফতেখার চৌধুরী আমাদের দেশের একজন বাংলাদেশী-আমেরিকান চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা। তার নতুন ছবি দমুক্তি’- তে আপনি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এ নিয়ে আপনার অনুভূতি কি?

কায়েস আরজু: অবশ্যই খুব ভালো। এর আগেও আমি ইফতেখার ভাইয়ের একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। পরে ওই ছবিটি আর নির্মান হয়নি৷ আমার একজন অত্যন্ত পছন্দের চলচ্চিত্রপরিচালক ইফতেখার চৌধুরী।

ফয়সাল হাবিব সানি: আমরা কায়েস আরজুকে রূপালি পর্দায় সাধারণত রোমান্টিক হিরো হিসেবে দেখতে পায়। এ চলচ্চিত্রেও কি কায়েস আরজুকে রোমান্টিক হিরো হিসেবেই পাচ্ছি?

কায়েস আরজু: না, এবার একেবারেই অন্যরকম চরিত্রে আমাকে দেখা যাবে। আমার অন্য কোনো চলচ্চিত্রে ইতোপূর্বে আমাকে এমন চরিত্রে দেখা যায়নি।

ফয়সাল হাবিব সানি: আমরা অবগত যে, দমু্ক্িত’ চলচ্চিত্রে আপনার বিপরীতে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করছেন নবাগতা রাজ রিপা। তার সাথে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা বা খুনসুটি যদি দর্শকদের সাথে শেয়ার করতেন?

কায়েস আরজু: রাজ রিপা নতুন হলেও তার গুণ আছে, ভালো কাজ করার যথেষ্ট প্রবণতা তার মধ্যে দেখতে পেয়েছি। যেইটা এখনকার সময়ের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের থাকা অতীব জরুরি বলে মনে করি।

ফয়সাল হাবিব সানি: আপনি ইতোমধ্যে মেহেদি হাসান ঈশা পরিচালিত ।আগুনে পোড়া কান্না’ নামক একটি চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করেছেন৷ দআগুনে পোড়া কান্না’ ও দমুক্তি’ চলচ্চিত্রের মধ্যে পার্থক্যের কথা যদি আমাদের বলেন?

Post MIddle

কায়েস আরজু: দআগুনে পোড়া কান্না’ সামাজিক ও পারিবারিক ঘোরানার চলচ্চিত্র। এদিক থেকে দমুক্তি’ একদমই ব্যতিক্রমী একটি চলচ্চিত্র। যেখানে একজন সাধারণ মেয়ের অনন্য অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প ফুটে উঠেছে। আর দমুক্তি’ মূলত অ্যাকশনধর্মী একটি মনস্তাত্ত্বিক ঘোরানার চলচ্চিত্র।

ফয়সাল হাবিব সানি: দমুক্তি’ চলচ্চিত্রে কি তবে গতানুগতিক কায়েস আরজুর চেয়ে একটু নতুন রূপে অন্য এক কায়েস আরজুকে দর্শকরা খুঁজে পাবেন?

কায়েস আরজু: একেবারে নতুন কায়েস আরজুকে দর্শকরা খুঁজে পাবেন যা আগের কায়েস আরজুর থেকে সম্পূর্ণই আলাদা। আর এইজন্য আমি দর্শকদের সামনে নিজেকে অন্যভাবে তুলে ধরারও চেষ্টা করছি।

ফয়সাল হাবিব সানি: দমুক্তি’ চলচ্চিত্রের পর আপনি অন্য কোনো চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন কি-না আর সর্বশেষ আপনার কোন্ চলচ্চিত্র সিনেমা হলে মুক্তির অপেক্ষায় আছে?

কায়েস আরজু: চুক্তিবদ্ধ হয়েছি নতুন আরও দুইটি চলচ্চিত্রে। খুব শীঘ্রই ওই নতুন দুইটি চলচ্চিত্রের ব্যাপারে সকলকে জানাবো এবং মুক্তির অপেক্ষায় আছে বর্তমানে আমার অভিনীত দআগুনে পোড়া কান্না’ চলচ্চিত্রটি।

ফয়সাল হাবিব সানি: সবমিলিয়ে, আলোচিত ব্যতিক্রমধারার এ চলচ্চিত্র নিয়ে আপনার প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির কথা যদি অল্পবাক্যে আমাদের জানান?

কায়েস আরজু: এ সময়ে মূলধারার আমাদের যে গল্পে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়, দমুক্তি’ ঠিক তার উল্টো। দমুক্তি’ চলচ্চিত্রটি যে ধরণের গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত হচ্ছে, সেই ধরণের গল্পের চাহিদা এখন বিশ্বজনীন। দনেটফ্লিক্স (ঘবঃভরষী)’- এর বিষয়টি বিবেচনায় এনে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হচ্ছে। আমি আশাবাদ ব্যক্ত করি, দর্শকদের আমরা একটি আন্তর্জাতিক মানের চলচ্চিত্র উপহার দিতে পারব। আর প্রিয় পরিচালক ইফতেখার ভাইয়ের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা আছে এই চলচ্চিত্রটিকে ঘিরে।

ফয়সাল হাবিব সানি: আমরাও আশা করি, চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আপনার জন্যও শুভকামনা ও ভালোবাসা।

কায়েস আরজু: তোমাকেও ধন্যবাদ। ভালোবাসা।

পছন্দের আরো পোস্ট