ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে উচ্চশিক্ষা

মোঃ সাইফুল ইসলাম খান।

সারা বিশ্বেই পর্যটন কেন্দ্রিক পড়াশোনার চাহিদা বাড়ছে হু হু করে। বাংলাদেশে তো বটেই। আপনার পছন্দ যদি হয় পর্যটন ও আতিথেয়তা, তাহলে চোখ বন্ধ করে ভর্তি হতে পারেন ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে।

কোথায় পড়বেন ঃ

বাংলাদেশে প্রায় ১৫টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং কলেজে পর্যটন নিয়ে পড়ালেখা করার সুযোগ রয়েছে। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কেবলমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ।

কেন পর্যটন, কেন ড্যাফোডিল ঃ

‘পর্যটনের সাথে একান্তভাবে যে পড়াটির যোগসূত্র রয়েছে তা হলো হোটেল ম্যানেজমেন্ট। বলা যায় আগামীর পেশা পর্যটন ও হোটেল ম্যানেজমেন্ট।’এভাবেই কথা শুরু করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজন্টের শিক্ষার্থী আবু সালেহ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বেশকিছু আন্তর্জাতিক চেইন হোটেল ব্যবসা শুরু করেছে। ঢাকার বাইওে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেটেও বেশকিছু চার তারকা ও পাঁচ তারকা হোটেল শুরু করেছে তাদেও ব্যবসা। এসব হোটেলে প্রচুর দক্ষ কর্মীবাহিনী দরকার হচ্ছে। দেশের বাইরেতো সুযোগ আরও ব্যাপক।

বেকারত্ব বাংলাদেশেসহ উপমহাদেশের একটি প্রধানতম সমস্যা। প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থানের অপ্রতুলতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সেশনজটের কারণে বয়স বেড়ে যাওয়া এই অঞ্চলের কর্মপ্রার্থীদেও জন্য এক জীবন মরণ সমস্যা। তুলনামূলক দ্রুত কর্মসংস্থানের জন্য হোটেল ম্যানেজমেন্ট ক্ষেত্রটি সেক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কোর্স কারিকুলাম একটু ভিন্নভাবে সাজানো–জানালেন এই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মাহবুব পারভেজ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদেও চারবছরের শিক্ষাজীবনকে আমরা চারটি সেগমেন্টে ভাগ করেছি। প্রথম সেগমেন্ট হচ্ছে রেগুলার বা নিয়মিত কোর্সের আওতাধীন পড়াশোনা, দ্বিতীয় সেগমেন্ট হচ্ছে কো-কারিকুলাম বা সহশিক্ষা কার্যক্রম, তৃতীয় সেগমেন্ট ল্যাব ও অন এডুকেশন ট্রেনিং এবং চতুর্থ সেগমেন্ট হচ্ছে ক্যারিয়ার। এই চারটি সেগমেন্টের ভেতর দিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে স্নাতক সম্পন্ন করতে হয় বলে তার পক্ষে কর্মজীবনের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ রূপে গড়ে ওঠা ছাড়া বিকল্প থাকে না। আর এসব কারণেই ড্যাফোডিলের ট্যুরিজম বিভাগে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়।

Post MIddle

বিভাগীয় প্রধানের কথার সঙ্গে মিল পাওয়া গেল বর্তমান শিক্ষার্থীদেও বক্তব্যের। নাবিলা আক্তার পড়ছেন শেষ বর্ষে। তিনি বলেন, আমাদের বিভাগের নিজস্ব হাউজ কিপিং ল্যাব রয়েছ এবং সার্ভিস ল্যাব রয়েছে। ফলে পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করতে পারছি। আরেক শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলেন, দুই বছর পর অন এডুকেশন পোগ্রামের মাধ্যমে আমাদেরকে কোনো না কোনো হোটেল, রিসোর্ট কিংবা পর্যটন প্রতিষ্ঠানে চার মাসের জন্য ইন্টার্নশিপ করতে হয়। এছাড়া চার বছর পর পূর্ণাঙ্গ ইন্টার্নশিপ তো আছেই। কথা হয় দশম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী তানিয়া সুলতানার সঙ্গে। তিনি বলেন, এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের নেতৃত্বগুণ ও নানা বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রচুর সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সবচেয়ে বড় সুযোগ হচ্ছে, শিক্ষার্থী বিনিময় প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবছরই দেশের বাইরের খ্যাতনামা বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে যাওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। তাছাড়া ছাত্রাবস্থাতেই আমরা এয়ার টিকেটিং সফটওয়্যার ও হোটেল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের সঙ্গে পরিচিত হতে পারি। এসব কারণই আমাকে এখানে ভর্তি হতে অকৃষ্ট করেছে।

শিক্ষার্থী বিনিময়প্রকল্প ঃ

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে বিশ্বেও বিভিন্ন দেশের নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রয়েছে শিক্ষার্থী বিনিময় প্রকল্প শীর্ষক সমঝোতা চুক্তি। এই প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বেশক’জন শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে এসেছেন। প্রতিবছরই এই বিভাগের কোনো না কোনো শিক্ষার্থী বিদেশের কোনো না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান।

ভর্তির যাবতীয় তথ্য পেতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ৪/২ সোবাহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা এই ঠিকানায় যোগাযোগ করতে হবে।

প্রয়োজনীয় টেলিফোন নাম্বার সমূহঃ ৪৮১১১৬৩৯, ৪৮১১৭১১৫ বর্ধিত ঃ ৪৪৪, ৬৬৬।

মোবাইলঃ ০১৭১৩৪৯৩০৫০-৫১, ০১৮৪৭১৪০০৯৪-৯৫, ০১৮৩৩১০২৮০৬, ০১৭১৩৪৯৩০৩৯ ফ্যাক্সঃ ৮৮-০২-৯১৩১৯৪৭।

ইমেইল। admission@daffodilvarsity.edu.bd ওয়েবঃ www.daffodilvarsity.edu.bd

পছন্দের আরো পোস্ট