বিশ্ব জাতিসংঘ দিবস

মোবাশ্বেরা ওহী।

আজ বিশ্ব জাতিসংঘ দিবস। ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ সনদ কার্যকর হয়। তাই সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৪৮ সালে এ দিবস নির্দিষ্ট করা হয় ২৪ অক্টোবর।

১৯৪১-১৯৪৫ সালের মধ্যে নানা আলোচনা ও উদ্যোগের পর জাতিসংঘ গঠিত হয়। বিশেষত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিজয়ী মিত্রশক্তি পরবর্তীতে যুদ্ধ প্রতিহত করার জন্য জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করতে সচেষ্ট হয়।

তাই ১৯৪৫ সালের ২৬ জুন সানফ্রান্সিসকো সম্মেলনে ৫০ টি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে জাতিসংঘের মূল সনদে সাক্ষর করে এবং পরবর্তীতে পোল্যান্ড ১৫ অক্টোবর এ সনদে সাক্ষর করে। মোট ৫১ টি রাষ্ট্র নিয়ে ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৪২ সালের ১ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট এফডি রুজভেল্ট জাতিসংঘের নামকরণ করেন।

Post MIddle

জাতিসংঘের সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত এবং এর স্থপতি ডব্লিউ হ্যারিসন। বর্তমান সদস্য রাষ্ট্র ১৯৩ টি; পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র ২টি। সর্বশেষ সদস্য রাষ্ট্র দক্ষিণ সুদান(২০১১)। বাংলাদেশ জাতিসংঘের ২৯ তম অধিবেশনে ১৩৬ তম রাষ্ট্র হিসেবে সদস্যপদ লাভ করে ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। কিছু দিন পরেই ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সর্বপ্রথম বাংলায় ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে জাতিসংঘে দেয়া বাংলাদেশের চাঁদার পরিমাণ নিজস্ব বাজেটের ০.০১% অংশ।

জাতিসংঘের মূল সংস্থা হলো ৬টি। বর্তমানে কার্যকর আছে ৫ টি। সংস্থাগুলো হলো:- সাধারণ পরিষদ , নিরাপত্তা পরিষদ , অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ , সচিবালয় , আন্তর্জাতিক আদালত ও অছি পরিষদ (অছি পরিষদের কার্যক্রম বন্ধ হয় ১৯৯৪ সালে)। এছাড়া ও রয়েছে ইউনিসেফ, ইউনেস্কো, স্বাস্থ্য সংস্থা ইত্যাদি অঙ্গসংস্থাসমূহ।

জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা রয়েছে ৬ টি; ইংরেজি, ফরাসি, রুশ, স্পেনীয়, চীনা এবং আরবী। উল্লেখযোগ্য, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫টি স্হায়ী সদস্য রয়েছে( যাদের ভেটো প্রদানের ক্ষমতা রয়েছে); মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও গণচীন। বাংলাদেশের পক্ষে ভেটো প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্র এবং বিপক্ষে সোভিয়েত ইউনিয়ন।

জাতিসংঘের উদ্দেশ্যগুলো হলো:- বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইন, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতি এবং মানবাধিকার বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা, বিভিন্ন রাষ্ট্রের মাঝে বিদ্যমান বিবাদ নিষ্পত্তি করা এবং জাতি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সবার স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান গড়ে তোলা। উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘ তার ছয়টি শাখার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে।

পছন্দের আরো পোস্ট