ভেঙে যাচ্ছে ইবির জিয়া পরিষদ

সায়ফুল হক সিরাজী।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাঙলাদেশী জাতিয়তাবাদে বিশ্বাসী বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘জিয়া পরিষদ’ ভেঙে যাচ্ছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর জিয়া পরিষদের ১৩ জন সদস্য নিয়ে ‘সাদা দল’ গঠন ও সম্প্রতি তাদের নামে জিয়া পরিষদের পক্ষ থেকে শোকজ করার মধ্য দিয়ে কার্যত এ ভাঙনের সুত্রপাত ঘটে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে গঠিত ইবির সাদা দলে লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম মতিনুর রহমানকে আহবায়ক ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. শরফরাজ নেওয়াজকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। শিঘ্রি পদত্যাগের মাধ্যমে জিয়া পরিষদ থেকে উল্লেখ যোগ্য সদস্য বেরিয়ে আসবেন বলে সুত্রে জানা গেছে।

জিয়া পরিষদ থেকে বের হয়ে আসার কারণ সম্পর্কে সাদা দলের বক্তব্য,‘দীর্ঘদিন যাবত ইবি জিয়া পরিষদে চরম অনিয়ম,অগণতান্ত্রিক চর্চা,স্বেচ্ছাচারিতা এবং কতিপয় ব্যক্তির স্বার্থে ব্যবহৃত হয়ে আসছে,যা জিয়া পরিষদের আদর্শ ও উদ্দেশ্যের পুরোপুরি বিপরীত। ইবিতে এ সংগঠনটির দৃশ্যত কার্যকর কোন ভূমিকা নেই। প্রকারান্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর্নীতিগ্রস্থ প্রশাসনেরই একটি অংশে পরিণত হয়েছে বর্তমান জিয়া পরিষদ।

এছাড়া,কার্যকরী কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবৈধভাবে কতিপয় ব্যক্তি’র ইচ্ছা অনুযায়ী সংগঠনটি পরিচালিত হয়ে আসছে। শহীদ জিয়ার শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন ও বেগম জিয়ার কারাগার থেকে মুক্তির দাবিতে কোন কর্মসূচী পালন করেনি বর্তমান কমিটি। যা সাধারণ সদস্যদের মধ্যে চরম ক্ষোভ, অসোন্তষ এবং অনাস্থার জন্ম দিয়েছে।’

Post MIddle

এদিকে জিয়া পরিষদের বর্তমান কমিটির দাবি,বর্তমান পরিষদ সভাপতির সাথে ড. মতিনুরের মতপার্থক্য রয়েছে। তাই এ বছর পরিষদ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেন ড. মতিন ও ড.শরফরাজ। নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকরা পূর্ণ প্যানেলে অংশগ্রহন করে সাধারণ সম্পাদকসহ ৫জন শিক্ষক জয়লাভ করে। ড.মতিন স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করায় পূর্ণ প্যানেলে জয়লাভ করতে পারেনি তারা।

জিয়া পরিষদের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন,‘বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে সাদা দলের যে অভিযোগ তা ভিত্তিহীন। এসব কথার কথা বলে লাভ নেই। গত বছর ২৭ অক্টোবরে নির্বাচন হয়েছে এখনো বছর পার হয়নি তাহলে কমিটির মেয়াদ শেষ হয় কিভাবে।

এছাড়া সমসাময়িক সকল ইস্যুতে যথাসাধ্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। মূল সংগঠনের বাইরে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তার অনেক সদস্যই বিষয়টি জানেনা। তাদের অমতে তাদেরকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।’

পছন্দের আরো পোস্ট