বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে স্কুল ফিডিং বিস্কুট

মেহেদী হাসান লিপন, মোরেলগঞ্জ(বাগেরহাট) ।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারনে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে বাড়িতে স্কুল ফিডিং এর বিস্কুট পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। “রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন” এর কর্মীরা তৃতীয় বারের মতো এসব বিস্কুট পৌঁছে দিচ্ছে।

জানা যায় যে, মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ৩০৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ০৪ টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসায় স্কুল ফিডিং কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৩১৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩২৬৩৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৪০ প্যাকেট করে উচ্চ শক্তি সম্পন্ন এই বিস্কুট বাড়িতে গিয়ে বিতরণ করা হচ্ছে।

প্রকল্প পরিচালক মোঃ রুহুল আমীন খান (অতিরিক্ত সচিব) নির্দেশনা মোতাবেক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে “রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন” আরআরএফ এর সকল কর্মীবৃন্দ মাঠ পর্যায়ে বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়ন করছে।

Post MIddle

উপজেলায় মাঠ পর্যায়ে কর্মরত ফিল্ড মনিটর তাসলিমা সুলতানা, তাপস কুমার দত্ত,সিমন মন্ডল জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যঞ্চ অঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে শিক্ষার্থীর হাতে স্কুল ফিডিং বিস্কুট পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ তাদের যথেষ্ট সহযোগীতা করছে।

মনিটরিং এন্ড রিপোটিং অফিসার উজ্জল কুমার রায় বলেন, এ কর্মসূচির বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগী হিসাবে বাগেরহাট জেলায় আরআরএফ ২০১২ সাল হতে সুনামের সাথে কাজ করছে। স্কুল ফিডিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে শিশুদের যেমন পুষ্টিহীনতা দুর হচ্ছে, পাশাপাশি শিক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে এ কর্মসূচির ভূমিকা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রকল্প সমন্বয়কারী তাপস সাধু বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এই বন্ধকালীন সময়েও যেন স্কুল ফিডিং কর্মসূচি বাস্তবায়িত এলাকার কোন শিশু পুষ্টি চাহিদা পূরণে ব্যর্থ না হয়, সে জন্যই বাংলাদেশ সরকার এই মহতি উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন ।##

পছন্দের আরো পোস্ট