উপায় না পেয়ে মেস ছাড়ছে জবি শিক্ষার্থীরা!

জবি প্রতিনিধি।

করোনা সংকটে প্রায় ৩ মাস বন্ধ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্লাস-পরীক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে সীমিত পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকলেও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে ক্লাস-পরীক্ষা। ফলে কোনো উপায় না দেখে মেসবাড়ি ছাড়তে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।

 

সম্পূর্ণ অনাবাসিক হওয়ায়া মেসবাড়িতেই থাকতে হয় জবির প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীকে। টিউশন কিংবা পার্টটাইম চাকুরী করেই মেসভাড়ার যোগান দেন সিংহভাগ শিক্ষার্থী। শুধু মেসভাড়ায় নয় অনেক শিক্ষার্থী তাদের ক্ষুদ্র আয় থেকে পরিবারকেউ টাকা পাঠান। সবমিলিয়ে করোনা সংকটে বিপদে পড়েছেন এসব শিক্ষার্থীরা।

 

করোনা সংকটে টিউশন, পার্টটাইম জব হারালেও মেসভাড়ার জন্য চাপ অব্যহত রেখেছেন মেসমালিক ও মেসম্যানেজাররা। এরূপ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বাড়িভাড়া সমস্যা সমাধানে কমিটি গঠন করা হলেও মেলেনি সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য। সব মিলিয়ে জলে কুমির ডাঙায় বাঘ অবস্থা শিক্ষার্থীদের। এরূপ পরিস্থিতিতে মেস ছেড়ে দেওয়াকেই প্রাধন্য দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

 

মেস ছেড়ে দিয়েছেন অথবা দিবেন এমন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনা সংকট কবে নাগাদ শেষ হবে তার নিশ্চয়তা নেই। তাই দীর্ঘসময় অতিরিক্ত মেসভাড়া বহন করার যুক্তি নেই। তাছাড়া পরবর্তী সময়ে সরকার থেকে যদি কোনো নির্দিষ্ট পার্সেন্ট মওকুফের ঘোষণাও আসে সেক্ষেত্রে বাকি টাকাটাতো দিতেই হবে।

 

Post MIddle

সম্প্রতি ১৩ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী কাওসার আহমেদ অন্তর বলেন, কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে জানিনা, সরকার থেকে কিছু মওকুফ হবে কি হবে না তারও নিশ্চয়তা নেই। এভাবে অনিশ্চিয়তার মধ্যে থাকার থেকে মেস ছেড়ে দেওয়া ভালো মনে করেছি।

 

তবে এক্ষেত্রে মালামাল নিয়ে আত্মীয় কিংবা বন্ধুর বাসায় রাখলেও। যাদের ঢাকাতে আত্মীয় কিংবা বন্ধুর বাসা নেই তারা পরছেন বিপাকে। এসমস্ত শিক্ষার্থীদের দাবি, এক্ষেত্রে তাদের জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা করা হোক প্রশাসন থেকে।

 

ইতিহাস ১৫ আবর্তনের শিক্ষার্থী রিমন বলেন, আমি এসপ্তাহে মেস ছেড়েদিবো। আমার কোনো আত্মীয় নেই ঢাকাতে, বন্ধুদের কারও কাছে জিনিসপত্র রাখার সুযোগ পাচ্ছি না। এঅবস্থায় ক্যাম্পাসে জিনিসপত্র রাখার সুযোগ পেলে ভালো হতো।

 

এবিষয়ে বাড়িভাড়া সমস্যা সমাধান কমিটির সদস্য সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, মেসভাড়া সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ শুরু করেছি। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে বিভাগগুলোকে। শিক্ষার্থীদের সমস্যা জানার পর আমরা সেঅনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

 

ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জিনিসপত্র রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা অবশ্যই করা যায়। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নিজ বিভাগে জিনিসপত্র থাকলে নিরাপদ থাকবে। ক্লাস শুরুর আগেই তারা তাদের জিনিসপত্র সরিয়ে নিলো।#

পছন্দের আরো পোস্ট