রাবিতে ছিনতাইয়ের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের এক শিক্ষার্থী বহিরাগতদের হাতে মারধর ও ছিনতাইয়ের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে অনুষদের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটায় বিশ^বিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন একাডেমিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মশিউর মেহেদী। তিনি বিশ^বিদ্যালয়ের চারুকলা গেইট সংলগ্ন রোজ গার্ডেন ছাত্রাবাসে থাকেন। অভিযুক্ত ছিনতাইকারীরা হলেন, বিশ^বিদ্যালয় সংলগ্ন কড়ইতলা এলাকার এজাজ আহমেদ রিক, রিকের বড়ভাই মিজান, একই এলাকার তাহমিদ আহমেদ শিহাব ও শাহরিয়ার রহমান জয়।

মানববন্ধনে মশিউর মেহেদী বলেন, ‘শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় কড়ইতলা এলাকা থেকে চারজন বহিরাগত তিন হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মারধর শুরু করে। এসময় তার চোখের কোণায় আঘাত লেগে রক্তক্ষরণ হয়। পরবর্তীতে এক হাজার টাকা দিলে তাকে ছিনতাইকারীরা ছেড়ে দেন।এরপর রোববারে তার মেসে গিয়ে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয় ছিনতাইকারীরা। মেস মালিক পরে তাদের মেস থেকে বের করে দিলে তারা সেখান থেকে বেরিয়ে যান।’
মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী সৌমিত্র কর্মকার রানা বলেন, ‘আমরা বহিরাগতদের হাতে বারবার হয়রানির স্বীকার হচ্ছি, মার খেয়েই যাচ্ছি। এতে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন শক্তিশালী কোন ভূমিকাই পালন করছে না। আমরা যতক্ষন পর্যন্ত এ ঘটনার সুবিচার প্রশাসন থেকে না পাব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

Post MIddle

একই বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ইজু বলেন, আমরা সবসময় বহিরাগতদের দ্বারা অপ্রীতিকর কথাবার্তা, খারাপ ব্যবহার এবং হয়রানির স¦ীকার হয়ে থাকি কিন্তু প্রশাসন তাদের দমন করতে বারবার ব্যর্থ হয়।

তিনি প্রশাসনের কাছে দাবি করে বলেন, অন্তত আমাদের নিরাপত্তার জন্য হলেও চারুকলা অনুষদ সংলগ্ন যে পকেট গেইটটি আছে সেখানে যেন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তিনি।

মানববন্ধনের একপর্যায়ে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘গতকাল মেহেদী ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আমার কাছে সুবিচার চেয়ে একটি আবেদনপত্র জমা দেয়। তাৎক্ষনিক এ ঘটনা আমি চন্দ্রিমা থানা পুলিশকে জানাই এবং ওই ছেলেদের বিরুদ্ধে পুলিশ দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছে।’

এ ছাড়া তিনি শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘চারুকলার পেছন গেইটে নিরাপত্তারক্ষী রাখার দাবিটা অবশ্যই যৌক্তিক দাবি। যেহেতু চারুকলা অনুষদ ও কৃষি অনুষদ চন্দ্রিমা থানার অধিনে আমরা এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানা পুলিশের সাথে কথা বলে নিরাপত্তারক্ষী রাখার দ্রুত ব্যবস্থা নিব।’

পছন্দের আরো পোস্ট