ঝুকিপূর্ণ পুল দিয়ে পারাপারে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

মেহেদী হাসান লিপন, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) সংবাদদাতাঃ

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের খাউলিয়া ও চালিতাবুনিয়া গ্রামের সংযোগ স্থাপনকারী ঝুঁকিপূর্ণ পুলটি দীর্ঘ বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। জোড়াতালি দিয়ে পুলটি সচল রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলটি দিয়ে প্রতি শত শত শিক্ষার্থী সহ এলাকার জনসাধারণ ঝুকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে।

জানা গেছে, অত্র ইউনিয়নের খাউলিয়া খালের বাজার সংলগ্ন শাখা খালের এ পুলটি ১২-১৪ বছর আগে নির্মিত হয়। খাউলিয়া ১নং ওয়ার্ড ও চালিতাবুনিয়া ২ নং ওয়ার্ডের খালের মোহনার জনগুরুত্বপূর্ণ এ পুলটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার জনসাধারণ যাতায়াত করে। পরাপার হতে হয় স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ কোমলমতী শিশু শিক্ষার্থীদের। বেহাল দশার পুলটি দিয়ে এদেরকে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়।

Post MIddle

এ পুলের এপাড়ে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ খাউলিয়া বাজার সহ নানাপ্রতিষ্ঠান। রয়েছে ১২৫ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চালিতাবুনিয়া মাদ্রাসাসহ আরো ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মোরেলগঞ্জ সদরগামী জনসাধারণ ও স্কুল-কলেজগামী অনেক শিক্ষার্থী এ পুল পার হয়। বয়সের ভারে পুলটি হেলে পড়ার উপক্রম হয়েছে। কালক্রমে পুলটির নিরাপত্তা রেলিং বিলুপ্ত হয়ে গেছে। খোয়া গেছে নানা যন্ত্রাংশ। পরাপারের সময় পুলটি দুলতে থাকে। বিশেষ করে ¯্রােতবাহী খালের কারনে শিশু ও বৃদ্ধরা পুলটি পার হতে ভয়পায়।

চাকুরিজীবি মিরাজ হোসেন জানান, পুলটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় কোন দূর্ঘটনা। এক যুগ আগে সাবেক এক চেয়ারম্যানের আমলে এ পুলটি সরকারিভবে নির্মিত হয়েছিল। তিনি আরো বলেন , কোন লোক অসুস্থ হয়ে পড়লে এ পুল দিয়ে যানবাহনে নেয়ার উপায় থাকেনা।

খাউলিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাষ্টার আবুল খায়ের জানান, গত বছরে দেড় টাকা ব্যয়ে ও উপজেলা সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আজমিন নাহার কর্তৃক উপজেলা পরিষদের বরাদ্ধ থেকে সংস্কার করা হয়েছিল। এ বছরের ইউপি পরিষদ অর্থায়নে সংস্কার করা হবে এবং আগামি বছর এলজিএসপি’র বরাদ্ধ থেকে পুলটি পুনঃনির্মান করা হবে।

পছন্দের আরো পোস্ট