গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ ২০১৯

গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ ২০১৯ (GKS-2019) এর গ্রাজুয়েট (মাস্টার্স, ডক্টরাল) পর্যায়ের আবেদন নেয়া শুরু হয়েছে। এটিই বিগত বছর ধরে দিয়ে আসা কোরিয়ান সরকারী স্কলারশিপ (KGSP)। সাধারণত সেপ্টেম্বরের দিকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং ফেব্রুয়ারিতে গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য আবেদন নেয়া হয়ে থাকে।
Post MIddle

গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ ২০১৯ এর জন্য এমব্যাসি এবং ইউনিভার্সিটি দুটি  ট্র্যাকেই বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।  তবে একজন আবেদনকারী একইসাথে উভয় ট্র্যাকে আবেদন করতে পারবে না। আবেদন করার জন্য যেকোনো একটি ট্র্যাক বেছে নিতে হবে। এমব্যাসি ট্র্যাকে ৩ টি বিশ্ববিদ্যালয় বা সাবজেক্টের নাম দেয়া যাবে আর ইউনিভার্সিটি ট্র্যাকে শুধু একটিতেই আবেদন করা যাবে।

​এবার এমব্যাসি ট্র্যাকে ১৪৬ টি দেশের ৪৮০ জন শিক্ষার্থীকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হবে।  অন্যদিকে ইউনিভার্সিটি ট্র্যাকে ৭৭ টি দেশের ৩৩০ জন শিক্ষার্থীকে এই স্কলারশিপটি দেয়া হবে। বাংলাদেশের নাম দুটো ট্র্যাকেরই মনোনীত দেশের নামের তালিকায় রয়েছে। আমাদের দেশ থেকে এবার এমব্যাসি ট্র্যাকে ৫ জন এবং ইউনিভার্সিটি ট্র্যাকে ৯ জনকে মোট ১৪ জনকে গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ ২০১৯ দেয়া হবে।

এই স্কলারশিপের আওতায় যা যা পাবেন- 

১। টিউশন ফি ও মেডিক্যাল ইন্স্যুরেন্স ফি সম্পূর্ণ ফ্রি
২। প্রতি মাসে শিক্ষা বৃত্তি বাংলাদেশি মূদ্রায় (৬৭,০০০ টাকা প্রায়)
৩। এয়ার টিকেট (রাউন্ড ট্রিপ) ফ্রি
৪। এক বছর মেয়াদী ফ্রি কোরিয়ান ভাষা প্রোগ্রাম

আবেদনের যোগ্যতা

১। সিজিপিএ স্কেল ৪ এ অন্তত ২.৬৪ বা ৮০ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে
২। ৩১ আগস্ট  এর মধ্যে ব্যাচেলর বা মাস্টার্স শেষ করতে হবে
৩। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তে বয়স ৪০ এর বেশি হতে পারবে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরদের ক্ষেত্রে বয়স ৪৫ বছর পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে।
৪। কোরিয়ান বা ইংরেজি ভাষায় দক্ষ আবেদনকারী অগ্রাধিকার পাবে।

 আবেদন করতে যে ডকুমেন্টগুলো জমা দিতে হবে- 

১।  আবেদন ফরম (ফরম-১)
২। পারসোনাল স্টেটমেন্ট (ফরম- ২)
৩। স্টেটমেন্ট অব পারপাস (ফরম-৩)
৪। দুটি রেকোমেন্ডেশন লেটার (ফরম-৫)
৫। এপ্লিকেন্ট এগ্রিমেন্ট (ফরম-৭)
৬। পারসোনাল মেডিকেল এসেসমেন্ট (ফরম-৮)
৭। একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
৮। একাডেমিক সার্টিফিকেট
৯। আবেদন কারীর নিজের এবং তার বাবা-মার নাগরিকত্ব প্রমানের ডকুমেন্ট (যেমন-এনআইডি, পাসপোর্ট, ইংরেজি জন্মসনদ)
১০। আইইএলটিএস / টপিক/ পাবলিকেশন ইত্যাদি (যদি থাকে)

এমব্যাসি ট্র্যাকের ক্ষেত্রে এইসবগুলো এক সেট মূল কপি এবং ৩ সেট ফটোকপি জমা দিতে হবে। ইউনিভার্সিটি ট্র্যাকে শুধু এক সেট মূল আবেদন কপি জমা দিতে হবে। একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও একাডেমিক সার্টিফিকেট এর নোটারি কপি দিতে হবে। এসএসসি, এইচএসসির ট্রান্সক্রিপ্ট,  সার্টিফিকেট লাগবে না। কোনো ডকুমেন্ট ফেরত দেয়া হবে না। প্রতিটি ডকুমেন্টের উপরে ডানপাশে কোণায়, ছোট সাদা লেবেলিং কাগজ দিয়ে লেবেলিং করতে হবে।

এমব্যাসি ট্র্যাকের জন্য আবেদন জমা দিতে হবে এই ঠিকানায়-
Embassy of the Republic of Korea
4 Madani Avenue Baridhara,
Dhaka-1212, Bangladesh

এমব্যাসি ট্র্যাকে আবেদন জমা দেয়ার শেষ সময় ৬ মার্চ ২০১৯। সিলেকটেড আবেদনকারীদের ১১ মার্চে ইন্টারভিউ নেয়া হবে।

ইউনিভার্সিটির ট্র্যাকে আবেদন করলে আবেদন কপি সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন অফিসে পাঠাতে হবে। আবেদনের সময়সীমা বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ভিন্ন। তাই ইউনিভার্সিটি ট্র্যাকের জন্য আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করবেন সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে  ডেডলাইন পাবেন।

পছন্দের আরো পোস্ট