আনন্দশালার নবম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বিকাশ কেন্দ্র আনন্দশালা’র নবম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ আনন্দ উল্লাসে মুখরিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে বেলা একটায় অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এ অনুষ্ঠানে আনন্দশালার জন্য ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, ঢাকা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আনন্দশালার ভবন নির্মাণের ব্যয় বহন করা হবে। ইতোমধ্যে এ ভবন নির্মাণের জন্য ঢাকা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ২২ লক্ষ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। শ্রেণি কক্ষের আসবাবপত্র তৈরির জন্য তিন লক্ষ টাকা প্রদানেরও ঘোষণা দেন তিনি।

Post MIddle

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানের সভাপতি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম আনন্দশালা ভবন নির্মাণ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জীবন বিকাশে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য প্রধান অতিথির নিকট আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উপাচার্য তাঁর ভাষণে স্বাভাবিক শিশুদের মাঝেই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বেড়ে উঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এতে দুই শ্রেণির শিশুদেরই স্বাভাবিক বিকাশ ঘটবে এবং পরস্পরের প্রতি সহমর্মিতা এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে।

অনুষ্ঠানে আনন্দশালার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আনন্দশালার পরিচালক (অনারারী) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ হানিফ আলী।

উল্লেখ্য, দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একমাত্র জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য এ ধরনের স্কুল রয়েছে। ২০০৯ সালের ২৮ অক্টোবর আনন্দশালা স্কুলের যাত্রা শুরু হয়।

 

পছন্দের আরো পোস্ট