চুয়েটে পিএমই কার্নিভাল

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ উৎসবমুখর পরিবেশে পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের আয়োজনে ‘পিএমই কার্নিভাল-২০১৮’ উদযাপিত হয়েছে। পিএমই বিভাগের ‘১৩ ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রীদের বিদায় এবং ‘১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বরণ উপলক্ষে দিনব্যাপী উৎসবের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষে অদ্য ২৫ অক্টোবর (বুধবার), ২০১৮ খ্রিঃ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ইএমই) ভবনের সামনে থেকে এক আনন্দ র‌্যালি রেব করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। র‌্যালিটি বেগম সুফিয়া কামাল হল, গোল চত্ত্বর, প্রশাসনিক ভবন ও পুরকৌশল ভবন হয়ে ইএমই ভবনে এসে শেষ হয়।

Post MIddle

পরে পিএমই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক ও বুয়েটের পেট্রোলিয়াম এন্ড মিনারেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং সোসাইটি অফ পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারস বাংলাদেশ সেকশনের চেয়ারপারসন ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। পিএমই বিভাগের প্রভাষক জনাবা নাদিয়া মাহজাবীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ জায়েদ বিন সুলতান।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার ২১০০ সাল পর্যন্ত ডেলটা প্ল্যান গ্রহণ করেছে। যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে প্রাকৃতিক ও খণিজ সম্পদের পাশাপাশি সমুদ্র সম্পদের প্রতি গুরুত্ব দিতে বলা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গোপসাগরে বিশাল আয়তনের সমুদ্র বিজয় পিএমই বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ সম্ভাবনা তৈরি করে দিয়েছে।

চুয়েট ভিসি আরো বলেন, বঙ্গোপসাগরে অঢেল সম্পদ রয়েছে। এই খাতে বিদেশী নির্ভরতা কমিয়ে আমাদের প্রকৌশলীদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। সরকারের ব্লু-ইকোনমি বাস্তবায়নে আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের গ-ি পেরিয়ে উন্নত-সম্মৃদ্ধশালী দেশের স্বপ্ন দেখছি। উন্নত দেশের পথে হাঁটতে হলে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে। আমাদের পেট্রোলিয়াম প্রকৌশলীদের হাত ধরে দেশ সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। পরে বিদায়ী ব্যাচের শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। দিনব্যাপী অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ছিলো- টেকনিক্যাল সেমিনার, প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা প্রভৃতি।

পছন্দের আরো পোস্ট