ইবিতে ডেভোলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের বছরপূর্তি

আজ (৩ অক্টোবর) বুধবার রবীন্দ্র নজরুল ভবনের দ্বিতীয়তলায় ডেভোলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শ্রেণীকক্ষে বিভাগের এক বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন,বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে ও প্রতিযোগীতামুলক চাকুরীর বাজারে ডেভোলপমেন্ট স্টাডিজের ভুমিকা অপরিসীম।

প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধীরে ধীরে উপনিবেশিকতার অবসান হবার পর থেকে বর্তমানে বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বাজার উপনিবেশিকতার জন্ম দিয়েছে পশ্চিমা বিশ্বগুলো।। তিনি বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর জন্য ডেভোলপমেন্ট স্টাডিজ এবং আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ডেভোলপমেন্ট স্টাডিজ এর মধ্যে পার্থক্য আছে। পশ্চিমা দেশগুলো শিল্প বিপ্লব ঘটিয়ে পরিবেশ দুষন করে উন্নয়নের সবোর্চ্চ শিখরে পৌছেছে কিন্তুু আমাদের রয়েছে প্রচুর জনশক্তি। এই জনশক্তিকে দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তরিত করতে পারলেই পরিবেশ দুষন না করে আমার মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স ইনকাম করতে পারি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবর রহমান ও ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম।

Post MIddle

এরপরে একইভাবে সোস্যাল ওয়েলফার বিভাগের একবছর পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও সোস্যাল ওয়েলফার বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবর রহমান এবং ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম এবং বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

পরবর্তীতে অনুষ্ঠান শেষে ডেভোলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে এক র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালীতে নেতৃত্ব দেন ভাইস-চ্যান্সেলর ও ডেভোলপমেন্ট বিভাগের খন্ডকালীন শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী। সাথে ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবর রহমান , ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম এবং বিভাগের নতুন শিক্ষক মোঃ ফিরোজ হোসেন, মোঃ হাফিজুর রহমান ও আতিফা কাফি প্রমুখ।

উল্লেখ্য যে গত বছরে বর্তমান প্রশাসনের নিরলস প্রচেষ্ঠায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম একসাথে আটটি নতুন বিভাগ খোলা হয়। নতুন খোলা ৮টি বিভাগ হচ্ছে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসী, ইনভারনমেন্টাল সাইন্স এন্ড জিওগ্রাফি, ‘ল’এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, ডিভোলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, সোস্যাল ওয়েলফার, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ও ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যনেজমেন্টে। এই বিভাগগুলোতে গত সেশনে আরো অতিরিক্ত ৫৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হবার সুযোগ পেয়েছে।

পছন্দের আরো পোস্ট