মাভাবিপ্রবিতে আবারো শিক্ষকদের গাড়ী ভাংচুর 

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দোলনচাঁপা নামের একটি মিনিবাস আবারও ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (১০ জুলাই) দুপুরে শহরের কাগমারী ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় ফুড টেকনোলজি এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. লুৎফুন্নেছা বারি, সহকারী অধ্যাপক নারগিছ আক্তার, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল নান্নু, ড্রাইভার সজিবুল ইসলাম গাড়ীতে অবস্থান করছিলেন।
এ ব্যাপারে গাড়ীর চালক সজিবুল ইসলাম বলেন, শহরের বেবীস্ট্যান্ড সড়কে অটোরিক্সার কারণে ধীরে গাড়ী চালাতে থাকি। এ সময় একটি ছেলে লাঠি হাতে এসে আমাকে গাড়ী থামাতে বলে। এরপরই ৬/৭ জন যুবক এসে এলোপাথাড়িভাবে গাড়ী ভাঙচুর করতে থাকে। পরে নিরাপত্তার জন্য গাড়ীর দরজা খুলে আমরা সবাই বের হয়ে আসি।
Post MIddle
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সিরাজুল ইসলাম বলেন, অজ্ঞাত কারণে কে বা কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ী ভাঙচুর করছে এ বিষয়ে আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করেছি। বর্তমানে গাড়ীটি থানায় রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত (৪ জুলাই) বিকেলে শহরের সরকারী এম.এম আলী কলেজের সামনে প্রথম গাড়ী ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা গাড়ির ভিতরে অবস্থানরত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ড্রাইভার সুমন মিয়াকে গাড়ি থেকে বের হয়ে আসতে বলে এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনের ফোন ব্যবহার করে ভাংচুরকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিনকে হুমকি প্রদান করে।
ফোনে তারা ভিসিকে বলেন- ‘টাঙ্গাইলে থাকস আর টাঙ্গাইলের বাপকে চিনস না, টাঙ্গাইলের বাপকে মানস না, টাঙ্গাইলের বাপের কথা শুনস না, টাঙ্গাইলের বাপেরে কথা মতো (তদবির করলে) চাকরি দেস না, বাইরে থেকে এনে চাকরি দেস। উপাচার্য তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা নিজেদের ‘টাঙ্গাইলের বাবা’ বলে পরিচয় দেয়।
তাদের সুপারিশ মতো চাকরি না হলে ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনা আরো ঘটবে বলে তারা জানিয়েছে। পরে তারা মাইক্রোবাসটি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের নামে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
পছন্দের আরো পোস্ট